স্বাস্থ্য ডেস্ক : বর্তমানে শারীরিক সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম ফ্যাটি লিভার রোগ। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অতিরিক্ত ওজন, ভাজাপোড়া খাবার, অতিরিক্ত চিনি, প্রক্রিয়াজাত খাবার ইত্যাদি বাড়িয়ে তুলে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি। বিভিন্ন ধরনের স্টেয়রেড মেডিসিনও ক্ষতির কারণ হয় লিভারের জন্য।
কেন হয় ফ্যাটি লিভার?
- ফ্যাটি লিভার যেসব কারণে হয় তার অন্যতম কারণ হলো, অ্যালকোহল। আলকোহল জাতীয় কোনো কিছু গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
- বেশি ঘন দুধ কিংবা কনডেস্ক মিল্ক খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। অতিরিক্ত দুধ ও চিনি দিয়ে চা-কফি পানের অভ্যাস বাদ দিতে হবে।
- শরীরের অতিরিক্ত ওজন ফ্যাটি লিভারের জন্য দায়ী। তাই অতিরিক্ত ওজন যেন শরীরে না থাকে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
- অল্প কারণেই নানা ধরনের ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। হারবাল মেডিসিন নেওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
- বিশেষ করে যাদের শরীরে স্থুলতা বেশি তাদের সতর্ক থাকতে হবে। স্থুলতা কমাতে হবে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে।
কারা বেশি ঝুঁকিতে?
- যাদের ডায়াবেটিস টাইপ টু রয়েছে।
- যাদের স্থুলতা বেশি।
- যাদের শরীরে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল আছে।
- উচ্চরক্তচাপে যারা ভুগছেন।
প্রতিরোধে করণীয়
- খাদ্যতালিকায় প্রাধান্য দিতে হবে বাহারি রঙের শাকসবজি। যেমন: মিষ্টিকুমড়া, গাজর, বরবটি, শিম, ব্রকলি, ফুলকপি ইত্যাদি।
- মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। মাংসের তেল-চর্বি খাওয়া যাবে না, সলিড মাংস খেতে পারবেন। মুরগির চামড়া ছাড়া মাংস খেতে হবে। মাছের চর্বির অংশ বাদ দিতে হবে।
- অতিরিক্ত তৈলাক্ত ও মশলাযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। পাম ওয়েল ব্যবহার না করে ওলিভ ওয়েল ব্যবহার করা উত্তম।
- বিভিন্ন মৌসুমী ফলমূল গ্রহণ করতে হবে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখা যেতে পারে একটি সেদ্ধ ডিম।
- ফ্যাটি লিভার প্রতিকার করতে ভিটামিন ও মিনারেল যুক্ত খাবার খেতে হবে।
- ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ফাইবার যুক্ত খাবার ক্ষুধাকে কমিয়ে দেয়। তাই খাদ্যতালিকায় ফাইবার যুক্ত খাবার রাখতে হবে।