1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন
হেডলাইন :
সাশ্রয়ী মূল্যে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত: অর্থ উপদেষ্টা চিকিৎসার জন্য আজ লন্ডন যাবেন খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো রাজধানীতে হলো “নিউ ইয়ার, নিউ মিশন’’ সম্মেলন অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান মারা গেছেন পূবালী ব্যাংকের উদ্যোগে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে বৃক্ষরোপণ  বাণিজ্য মেলায় ইসলামী ব্যাংকের প্রিমিয়ার স্টল উদ্বোধন মোজো এখন বাংলাদেশের ‘১ নম্বর’ বেভারেজ ব্র্যান্ড ১ টাকা কমলো ডিজেল-কেরোসিনের দাম, অপরিবর্তিত অকটেন-পেট্রোল ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দেয়ার আল্টিমেটাম থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি-ফানুস ওড়ানো বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ

বাণিজ্য ও বিনিয়োগ জোরদারে এফবিসিসিআই-কোইমার চুক্তি

  • আপডেট সময় : সোমবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৮৩ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ জোরদারে চুক্তি সই করেছে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং কোরিয়া ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (কোইমা)।

সোমবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এফবিসিসিআই ও কোইমার মধ্যে এ চুক্তি হয়। এফবিসিসিআইর পক্ষে সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী এবং কোইমার পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান কিম বিয়ং-কোয়ান চুক্তিতে সই করেন।

এই চুক্তি বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মো. আমিন হেলালী। তিনি বলেন, ‘চলতি বছর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছরপূর্তি উদযাপন করছে। দুই বন্ধুপ্রতীম দেশ নিজেদের উন্নয়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং অগ্রগতির জন্য দীর্ঘদিন ধরে একসাথে কাজ করছে। বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্ক আরও মজবুত এবং বাণিজ্য জোরদারে বিগত বছরগুলোতে একাধিক ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময় এবং একাধিক সমঝোতা স্মারক সই করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৫৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির মাইলফলক অতিক্রম করেছে। প্রবৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত রেখে আমরা ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ হওয়ার পরিকল্পণা গ্রহণ করেছি। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আধুনিক, স্মার্ট দেশে রূপান্তরিত করতে আমরা ৩০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। এ লক্ষ্য অর্জনে বিশ্বে নতুন বাজার অনুসন্ধান এবং পণ্য বৈচিত্র্যকরণে কাজ করছে এফবিসিসিআই।’

‘দক্ষিণ কোরিয়া ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে প্রতিশ্রুতিশীল বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। শুধু কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদের জন্য আমাদের সরকার একটি বিশেষ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (স্পেশাল ইপিজেড) প্রতিষ্ঠা করেছে। যেখানে ইতোমধ্যে কোরিয়ান বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত সেখানে ১ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহত্তম সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগকারীর স্বীকৃতি পেয়েছে। বর্তমানে দুই শতাধিক কোরিয়ান কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করছে।’

এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি কোরিয়ান কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের সাথে যৌথ উদ্যোগ এবং সাবকন্ট্রাক্টিংয়ে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর, মাইক্রোচিপস, হাই-টেক, প্লাস্টিক, অটো পার্টস, কৃষি যন্ত্রপাতি, সিরামিক পণ্য এবং সফটওয়্যারসহ অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্ভাবনা তুলে ধরে কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

কোরিয়া ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (কোইমা) চেয়ারম্যান কিম বিয়ং-কোয়ান বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই সমঝোতা স্মারক আমাদের দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক, এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি শমী কায়সার, ডা. যশোদা জীবন দেবনাথ, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকারসহ এফবিসিসিআইর পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ