1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন

সোনালী পেপারের লেনদেনে আর কোনো বাধা নেই

  • আপডেট সময় : শনিবার, ২৫ জুলাই, ২০২০
  • ৩৮৭ বার দেখা হয়েছে
sonali-paper

ডিএসই ও সিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডকে ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে লেনদেনের অনুমোধন দিলেও লেনদেন শুরু হয়নি।লেনদেনের জন্য গত বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল।কিন্তু অনিবার্য কারণ দেখিয়ে ডিএসই লেনদেন স্থগিত রেখেছে।

এবার সোনালী পেপারের লেনদেনের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন চিঠি দিয়েছে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে। বিএসইসি সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে।জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) বিএসইসি থেকে এ বিষয়ে ঢাকা স্টকেএক্সচেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে চিঠি দিয়েছে।বিএসইসির সহকারী পরিচালক মাহমুদা শীরিনের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের পরিচালকদের সব শেয়ার এক বছরের জন্য লক-ইন থাকবে।

লেনদেনের প্রথম দিন থেকে এই সময় ধরা হবে।অর্থাৎ লেনদেন শুরুর দিন থেকে পরবর্তী এক বছরের সময়ের মধ্যে কোন পরিচালক কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন না।একটি সুত্র জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহের যে কোন দিন লেনদেন শুরু হতে পারে সোনালী পেপারের। দীর্ঘ ১১ বছর ওটিসি মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে ফিরছে কোম্পানিটি।

এর আগে ডিএসই ও সিএসইর পর্ষদ সভায় কোম্পানিটির পুনঃতালিকাভুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়।সর্বশেষ হিসেবে অনুযায়ী তৃতীয় প্রান্তিক (জানু’-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৫ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৩১ পয়সা।এদিকে, ৯ মাসে (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ২৯ পয়সা।

গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৪৬ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৭৭৮ টাকা ৮৬ পয়সা।পুঁজিবাজারের মূল মার্কেটে ফিরতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করে সোনালী পেপার।

ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু ধারা থেকে অব্যাহতি দিয়ে গত ২৭ নভেম্বর ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বাজারে পুনঃতালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয় বিএসইসি।উৎপাদন বন্ধ থাকা ও বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করাসহ পাঁচ কারণ দেখিয়ে ২০০৯ সালের ১ অক্টোবর সোনালী পেপারকে মূল মার্কেটের তালিকাচ্যুত করে ওটিসি মার্কেটে পাঠানো হয়। তালিকাচ্যুতির অন্য তিন কারণ হলো— ধারাবাহিক লোকসান, শেয়ারহোল্ডারদের নিয়মিত লভ্যাংশ না দেওয়া এবং কাগুজে শেয়ার ইলেকট্রনিকে রূপান্তর না করা।

মূল মার্কেটে ফিরতে যেকোনো কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। একইসঙ্গে ধারাবাহিক ৩ বছর মুনাফায় থেকে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে হয়। তবে, সোনালী পেপারকে এই দুটি শর্ত থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিএসইসি। তালিকাচ্যুতির সময় কোম্পানির শেয়ারের যে দর ছিল, এখন মূল মার্কেটে লেনদেনের প্রথম দিন থেকে সেই দরে কেনাবেচার সুযোগ দিয়েছে বিএসইসি।

১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সোনালী পেপারের শেয়ার ওটিসিতে সর্বশেষ ২৭৩ টাকায় কেনাবেচা হয়।সোনালী পেপার ১৯৭৭ সালে ব্যবসা শুরু করে। ১৯৮৫ সালে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। এর মধ্যে উদ্যোক্তাদের শেয়ার রয়েছে ৬৯ দশমিক ৩ শতাংশ।

২০১৮-১৯ হিসাব বছরে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ১৯ পয়সা। আর ২০১৯-২০ হিসাব বছরের অর্ধবার্ষিকে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮ পয়সা। কোম্পানিটির সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৩৬ টাকা ৯০ পয়সা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ