1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২২ অপরাহ্ন

পোশাকশিল্পে চলমান অস্থিরতায় ইন্ধন দিচ্ছে বিএনপি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৩৩ বার দেখা হয়েছে
Exif_JPEG_420

নিজস্ব প্রতিবেদক : পোশাকশিল্পে যে অস্থিরতা চলছে, বিএনপির নেতাকর্মীরা তা উসকে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, সব জায়গায় ব্যর্থ হয়ে এই জায়গায় এসে সফলতা পাওয়ার চেষ্টা করছে তারা।

রোববার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন কথা বলেন।

ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করে দেওয়ার পরেও তৈরি পোশাক শিল্পে অস্থিরতা চলছে, এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ মজুরি বাড়িয়েছেন। শ্রম মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ অনুযায়ী বিজিএমই’র ব্যবসায়ীরা এই বেতন বাড়িয়েছেন—আট হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করেছেন।

‘তাদের মনে অনেক সংশয় আছে বলে আমরা শুনতে পেয়েছি যে সেকেন্ড গ্রেড, থার্ড গ্রেড—এগুলোর কী হবে। গার্মেন্টসের মালিকপক্ষ এগুলোর সমাধান করে দেবেন। তারাও তো ব্যবসা করেন।’

আগুন, ভাঙচুর কিংবা রাস্তা অবরোধ করে এই সমস্যার সমাধান হবে না বলেও জানিয়েছেন আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, সবচেয়ে প্রণিধানযোগ্য হচ্ছে, বিক্ষোভের যেসব ভিডিও ফুটেজ পাচ্ছি, তাতে দেখা যাচ্ছে—এরা সবাই বিএনপির কর্মী। কুষ্টিয়ার এক বিএনপির নেতা কোণাবাড়িতে এসে গার্মেন্টসকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করছিলেন। এভাবে যারা ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন কিংবা ধরতে পেরেছি, তারা সবাই বিএনপির কর্মী বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে।

‘তারা নিরীহ শ্রমিকদের ইন্ধন দিচ্ছেন, তাদের জড়ো করছেন। সব জায়গায় ব্যর্থ হয়ে এই জায়গায় এসে সফলতা পাওয়া যায় কি না, তারই একটা ব্যবস্থা তারা করতে চাচ্ছেন। আমি মনে করি, শ্রমিকদের যদি আরও কিছু দাবি থাকে, তাহলে তা বিজিএমইর নেতাদের সঙ্গে বসে ফয়সালা করা যাবে। সেগুলো না করলে নিজেদের ও দেশের ক্ষতি হচ্ছে বলে তাদের চিন্তা করা উচিত।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের সেরা হাসপাতাল থেকে তিনি চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন এবং বিদেশ থেকেও বিশেষজ্ঞরা এসে তাকে চিকিৎসা দিচ্ছেন। কাজেই চিকিৎসার ঘাটতি হচ্ছে বলে আমার মনে হচ্ছে না।

কয়েকদিন পর আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিল হবে। কিন্তু বর্তমানে যেভাবে অবরোধের নামে গাড়ি পোড়ানো হচ্ছে, এ নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। নির্বাচন পর্যন্ত কী এভাবে চলতে থাকবে, প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি তো সেটা বলিনি। আমি বলেছি, তাদের চরিত্রই এমন। তারা সবসময়ই সন্ত্রাস ডেকে ষড়যন্ত্র করে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে এসব কর্মসূচি দিচ্ছে।

‘আমি কয়েকটি উদাহরণও দিয়েছি। সময়মত নির্বাচনের ডাক দেবে নির্বাচন কমিশন, সবাই সেখানে অংশ নেবেন— এমনটিই জনগণের প্রত্যাশা। আমরা এখনও বলি, তারা নির্বাচনে আসবেন, নির্বাচন ছাড়া সরকার পাল্টানোর আর কোনও সুযোগ নেই। কাজেই নির্বাচনে তাদের আসতে হবে, যদি সরকার পরিবর্তন করতে চায়।’

যারা জ্বালাও-পোড়াও করছেন, তাদের খুঁজে খুঁজে বের করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ দেশের জনগণও যথেষ্ট সজাগ হয়েছে। জনগণও তাদের ধরিয়ে দিচ্ছে। আমরা অনেক জায়গায় দেখেছি, যারা পেট্রোলের বোতল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছেন, তাদের জনগণ ধরিয়ে দিচ্ছেন। জনগণ যখন ঘুরে দাঁড়াবেন, তখন এগুলো অটোমেটিক্যালি (এমনি এমনি) বন্ধ হয়ে যাবে।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা কারাগারে, এ অবস্থা থাকলে তারা নির্বাচনে আসবেন কি না- প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচনে আসবে কী আসবে না, এটা তাদের এখতিয়ার। আমাদের কথা হচ্ছে, ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ ঘিরে লঙ্কাকাণ্ডের আগে আমরা বিএনপির কোনও নেতাকর্মীদের ধরিনি। সেখানে যখন নৃশংসতা ও বর্বরতা চলছে, তখন তারা মঞ্চে বসে ছিলেন। তারা তো দুঃখ প্রকাশ করতে পারতেন জাতির উদ্দেশ্যে যে আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু কর্মী এসব করেছে। এটা আমাদের কাম্য ছিল না।

‘কিন্তু দুঃখ প্রকাশের পরিবর্তে তারা অব্যাহত হরতালের ডাক দিয়েছেন। একজন বাসের হেলপার শুয়ে ছিলেন, বাস পাহারা দিচ্ছিলেন, তাকেসহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বাসটি। এতে কী প্রমাণ হয়? বিএনপির বড়ো বড়ো নেতারা কী দায় এড়াতে পারবেন? তারা বলতে পারতেন—তোমরা বাসে আগুন দিও না, তোমরা এই মানুষ হত্যা করো না। বিএনপি নেতাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে, তারা এসব থেকে বিরত থাকবে বলেই আশা করছি বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ