ডেস্ক রিপোর্ট : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে ৭ জানুয়ারি। বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই–বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনি প্রচার চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।
সিইসি বলেছেন, এই জাতীয় নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৬৬ জনকে। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ৫৯৯ জন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করেছে ইসি। এ তালিকা অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন, নারী ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮৫২ জন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার ছিল ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭ জন। সে হিসেবে ৫ বছরে দেশে ভোটার বেড়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৬ জন।
এর আগে, বিকেল ৫টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কমিশনের সভায় নির্বাচনের তারিখসহ তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
সিইসির ভাষণ একযোগে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এবারই প্রথম তফসিল ঘোষণা সরাসরি সম্প্রচার করা হলো। আগে সব সময় রেকর্ড করা ভাষণ প্রচারিত হত।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সে হিসেবে এই সংসদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, এর আগে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। সেই হিসাবে গত ১ নভেম্বর নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়ে গেছে। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা আছে।