1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ অপরাহ্ন

‘ভূমি মন্ত্রণালয়কে সাসটেইনেবল জায়গায় এনেছি’

  • আপডেট সময় : সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৩৭ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভূমি মন্ত্রণালয়কে স্মার্ট মন্ত্রণালয় হিসেবে দাঁড় করানোর কৃতিত্ব দাবি করে ভূমিমন্ত্রী মো. সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ভূমি মন্ত্রণালয়কে সাসটেইনেবল জায়গায় নিয়ে এসেছি। আমার পরে যিনি আসবেন, তার বেসিক্যালি রুটিনওয়ার্ক হবে। কিছু কিছু কাজ আছে, সেগুলোকে যেন ক্যারি, ফরওয়ার্ড করতে পারে। মোটামুটি আমরা একটা শেপে নিয়ে এসেছি।

সোমবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে স্মার্ট ভূমি সেবাবিষয়ক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ কর্মশালার আয়োজন করে।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আমি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া আদায় করি। এটা এই মেয়াদের শেষ সময়। আগামীটা আগামীতে দেখা যাবে, আল্লাহ কী রাখছেন? তবে মনে হচ্ছে, স্যাটিসফেকশন (সন্তুষ্টি) নিয়ে যেতে পারছি। একটা কথা আছে—শেষ ভালো যার, সব ভালো তার।

তিনি বলেন, ‘জাতিকে যতটুকু সেবা দিতে পেরেছি, সেটা বিবেচনা করবে জাতি। আমি আমার জায়গা থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সেবার মনোভাব নিয়ে দায়িত্ব পালন করেছি। একটা ন্যূনতম স্যাটিসফেকশন নিয়ে আমি যেতে পারছি। এটাই আমার জন‌্য স্বস্তি।

তিনি বলেন, যারা কাজের প্রতি মনোযোগী, কাজ করতে বেশি আগ্রহী, তাদের মধ্যে সব সময় একটা জিনিস থেকে যায়—আরেকটু সময় পেলে আরেকটু কাজ করতে পারতাম। এই সময়টা পেলে নিশ্চয়ই আমি কাজ আরও গোছাতে পারতাম। পাঁচ বছরটা আমি চেষ্টা করেছি প্রতিটা মুহূর্ত, প্রতিটা ঘণ্টা, প্রতিটি দিনকে কীভাবে ব্যবহার করা যায়। এটা সব সময় আমার মাথায় রেখেছিলাম বলে একটা স্যাটিসফেকশনের জায়গায় দাঁড়াতে পেরেছি।

‘ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাজ একটা ট্র্যাকে আমি দাঁড় করিয়ে দিয়েছি। এখন এটা স্পিডআপ করতে হবে। কিছু কাজ বাকি আছে, আমার মনে হয়। এটা এক মাসের মধ্যে মোটামুটি একটা শেপে চলে আসবে। শতভাগ স্যাটিসফাইড না হলেও মোটামুটি একটা জায়গায় আমরা দাঁড় করিয়েছি। তবে, মাঠ পর্যায়ে এখনো আমাদের সমস্যা আছে। রাতারাতি কোনো কিছু রিপেয়ার করা খুবই কঠিন। সিস্টেমের মাধ্যমে ডেভেলপ করে আমি যতটুক পেরেছি করেছি’, বলেন মন্ত্রী।

ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন করা হয়েছে, জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এমন একটা মার্জিনাল সময়ে পড়েছিলাম যে, এটা না হওয়ার আশঙ্কা ছিল। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু সাপোর্ট দিয়েছেন, সেজন্য এটা আমি করতে পেরেছি। একটা আইন পাস করা চাট্টিখানি কথা নয়। একেবারে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ওপর পর্যন্ত অধীর আগ্রহে আইনটির অপেক্ষা করছিল। আমি স্যাটিসফাইড যে, আইনটি করে যেতে পেরেছি।। ইনশাআল্লাহ, বিধিটা হয়ে যাবে। বিধিটা না হলে হাফ ডান হয়ে যাবে। হাফ ডান নিয়ে আবার প্রবলেম হয়ে যাবে।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘ভূমি উন্নয়ন কর, যেটা ম্যানুয়ালি ছিল, সেটাকে আমরা বন্ধ করে পুরো ক্যাশলেস করে ফেলেছি। প্রতিদিন ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ ৫ কোটি টাকা জমা হচ্ছে। বছরে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।’

‘কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা হচ্ছে। অনেকের একসঙ্গে খতিয়ান থাকে, ভাগ হয় না, ল্যান্ড ট্যাক্স দিতে পারে না। কিছু কিছু বিষয়ে কমপ্লেইন আসছে। আমরা সেটা নিয়েও কাজ করছি। মোটামুটি কী পয়েন্টস, যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ মিউটেশন, ল্যান্ড ট্যাক্স এগুলো আমরা সেরে ফেলেছি।’

সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সঙ্গে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সেবা কার্যক্রমের সমন্বয়ে ধীর গতি আছে, জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট বা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস আবার আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে। ইন্টিগ্রেশনের কাজ চলছে, কিছু কিছু জায়গায় হয়েছে, আরও কাজ বাকি আছে।’

তিনি বলেন, আমরা ল্যান্ড জোনিংয়ের কাজ করছি। ডিজিটাল সার্ভের কাজ সারা দেশে শুরু হবে।

কর্মশালায় বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি ফসিহ উদ্দিন মাহতাব এবং সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ