1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন

হরতাল-অবরোধ: ২২ দিনে ৩৭৬ অগ্নিসংযোগ

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৫৭ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে ২২ দিনে দুর্বৃত্তরা ৩১০ স্থানে ভাঙচুর ও ৩৭৬ জায়গায় অগ্নিসংযোগ করেছে বলে অভিযোগ করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, দেশব্যাপী অবরোধ ও হরতাল চলাকালে গত ২৯ অক্টোবর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ২৭৫টি যানবাহন ও ২৪টি স্থাপনাসহ ৩১০টি স্থানে ভাঙচুর এবং ২৯০টি যানবাহন ও ১৭টি স্থাপনাসহ ৩৭৬টি স্থানে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।

এছাড়া, ২ নভেম্বর ঝালকাঠি জেলায় আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর, ৫ নভেম্বর পিরোজপুরে এবং ৬ ও ১৫ নভেম্বর সিরাজগঞ্জ জেলায় আওয়ামী লীগের দুটি অফিসে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। গত ২৯ অক্টোবর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন।

গত ১৯ নভেম্বর গাজীপুরের শ্রীপুর থানার বরমী ইউনিয়নে গিলাশ্বর আব্দুল জব্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিনশেড ঘরে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে চারটি বেঞ্চ ও একটি জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

অবরোধ চলাকালে ৩১ অক্টোবর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত রেলওয়েতে ২৪টি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, টাঙ্গাইল ও জামালপুরে তিনটি ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরে একটি, ময়মনসিংহে দুটি, গাজীপুরে একটি, নেত্রকোনায় একটি এবং নওগাঁয় একটিসহ ছয়টি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জে একটি, নোয়াখালীতে দুটি, সিলেটে একটি, পাবনায় একটি, দিনাজপুরে একটি ও গাজীপুরে তিনটিসহ রেললাইনে ৯টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সিলেট, ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জে রেললাইন কেটে ফেলার চেষ্টা এবং গাইবান্ধায় রেললাইনের ফিস প্লেট খোলার চেষ্টা করা হয়। পাবনায় ট্রেনে পেট্রোল ও ডিজেল ভর্তি বোতল নিক্ষেপ করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে রেললাইনের ওপর অতিরিক্ত ৩ ফুট লম্বা ৩ ইঞ্চি চওড়া পাত সংযোজন করে নাশকতার চেষ্টা করা হয়।

গত ২৮ অক্টোবর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকা মহানগর এলাকায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২৯ জনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে রমনায় ২ জন, বংশালে ২ জন, মুগদায় ৪ জন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে ২ জন, মোহাম্মদপুরে ১ জন, পল্লবীতে ৮ জন, কাফরুলে ১ জন, গুলশানে ৫ জন, ক্যান্টনমেন্টে ১ জন, খিলক্ষেতে ২ জন ও উত্তরা পূর্বে ১ জন।

২৮ অক্টোবর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত কুমিল্লা জেলায় অবরোধ ও হরতালের সময় পিকেটিং ও অগ্নিসংযোগ করাকালে ১৭ জনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১ জন ও পিকেটিং করার সময় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের অনেকেই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

পুলিশকে বিতর্কিত করার লক্ষ্যে নাশকতাকারীরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ‘PRESS’ লেখা জ্যাকেট পরে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়, যা জনগণের কাছে এখন স্পষ্ট।

ভাঙচুর ও নাশকতামূলক হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশ পুলিশ সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। অবরোধ-হরতালে যানবাহন বা স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগকারীদের উপযুক্ত প্রমাণসহ ধরিয়ে দিলে অথবা সুনির্দিষ্ট তথ্য দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ