জেলা প্রতিনিধি, সিলেট : সিলেটের গোয়াইনঘাটে অনুসন্ধান চালিয়ে আরেকটি কূপে গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেড। এই কূপ থেকে দৈনিক ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
সিলেট গ্যাসফিল্ড কর্তৃপক্ষের দাবি, ২০৩ কোটি টাকা ব্যায়ে এই অনুসন্ধান কূপটি খনন করা হয়েছে। যাতে ৪৩.৭ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুত রয়েছে। হরিপুর গ্যাসফিল্ড থেকে ৮ কিলোমিটর দূরে গোয়াইনঘাটের এই খাগড়ার হাওরে কূপটির অবস্থান।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড সূত্র জানায়, ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত গ্যাস অনুসন্ধানে ত্রি-মাত্রিক ভূতাত্ত্বিক জরিপ চালায় সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেড কোম্পানি। জরিপের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২২ সালে ২০৩ কোটি টাকা ব্যায়ে কূপ খননের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। কূপ খননের কাজ পায় চীনের কোম্পানী সিনোপ্যাক। গত জুনের শেষ দিকে কাজ শুরু করে ৫ মাসের মাথায় রোববার (২৬ নভেম্বর) সকালে উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের সন্ধান মেলে।
প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে সিলেট গ্যাস ফিল্ডর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, এখানে ৪৩.৭ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত আছে। এখান থেকে দৈনিক ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা যাবে। তবে, জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে পাইপ লাইন তৈরি করে এই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হতে কিছুটা সময় লাগবে।
মিজানুর রহমানের মতে, এখানে মজুত গ্যাসের সর্বনিম্ন মূল্য প্রায় ৩৬০০ কোটি টাকা। এলএনজি আমদানি মূল্যের সঙ্গে তুলনা করলে মজুত গ্যাসের মূল্য দাড়াবে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলে এসজিএফএলের দৈনিক উৎপাদন দাঁড়াবে ১১৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।