নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হার কমেছে। গত বছরের চেয়ে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে জিপিএ-৫ পাওয়ার শিক্ষার্থীর সংখ্যা। গতবার পরীক্ষা সহজ ছিল। কম বিষয়, কম সময় ও কম নম্বরের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। এবার পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এজন্য, পরীক্ষাটাও তুলনামূলক কঠিন হয়েছে। এতে পাসের হার ও জিপিএ-৫ কিছুটা কমেছে।
রোববার (২৬ নভেম্বর) এইচএসসি’র ফল প্রকাশ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, তবে করোনাপূর্ব সময়ের সাথে মেলালে ফলাফল ইতিবাচক।
দীপু মনি বলেন, গত বছরের সঙ্গে এবারের ফলাফলের তুলনা করলে সেটা সঠিক হবে না। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির আগের যে পরীক্ষাগুলো হয়েছিল, সেখানে কেমন রেজাল্ট হয়েছিল সেটা দেখতে হবে। সেটার সঙ্গে মেলালে বোঝা যাবে।
তিনি জানান, ২৭ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষার ফলাফল পূনর্মূল্যায়নের সুযোগ থাকবে।
এ সময় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জিম্মি করে রাজনীতি না করার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে একক ভর্তি পরীক্ষার বিষয়টি এখনও পর্যালোচনা করছে সরকার। এ বছর না হলে, পরের বছর হবে বলেও জানান তিনি।
দীপু মনি বলেন, কোচিং ব্যবসায় জড়িত এবং নোট গাইড ব্যবসায়ী চক্রই নতুন কারিকুলাম নিয়ে অনলাইনে অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছে।
এর আগে, সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও বোর্ড চেয়ারম্যানরা। বেলা ১১টায় ওয়েবসাইট ও নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফল প্রকাশ করা হয়।
গতবারের চেয়ে এবার পাসের হারও কিছুটা কমেছে। গতবার পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এবার এইচএসসি ও সমমানে সব বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গতবার এসএসসি ও সমমানে মোট পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
ফলাফলে দেখা যায়, দেশের বাকি ৭টি সাধারণ বোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৭৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। এছাড়া ময়মনসিংহ ও দিনাজপুর বোর্ডে ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।
সব শিক্ষাবোর্ড মিলিয়ে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় মোট পাস করেছেন ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫২ জন পরীক্ষার্থী। শুধু ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৯ শতাংশ। এ ছাড়া, মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে পাস করেছেন ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৯১ দশমিক ২৫ শতাংশ।