1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৮ অপরাহ্ন
হেডলাইন :
সাশ্রয়ী মূল্যে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত: অর্থ উপদেষ্টা চিকিৎসার জন্য আজ লন্ডন যাবেন খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো রাজধানীতে হলো “নিউ ইয়ার, নিউ মিশন’’ সম্মেলন অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান মারা গেছেন পূবালী ব্যাংকের উদ্যোগে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে বৃক্ষরোপণ  বাণিজ্য মেলায় ইসলামী ব্যাংকের প্রিমিয়ার স্টল উদ্বোধন মোজো এখন বাংলাদেশের ‘১ নম্বর’ বেভারেজ ব্র্যান্ড ১ টাকা কমলো ডিজেল-কেরোসিনের দাম, অপরিবর্তিত অকটেন-পেট্রোল ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দেয়ার আল্টিমেটাম থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি-ফানুস ওড়ানো বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ

পরলোকগমন করেছেন হেনরি কিসিঞ্জার

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৭৫ বার দেখা হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বহুল আলোচিত মার্কিন কূটনীতিবিদ, সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, নোবেল পুরস্কারজয়ী ব্যক্তিত্ব হেনরি কিসিঞ্জার পরলোকগমন করেছেন।

বুধবার তিনি মারা যান বলে কিসিঞ্জার এসোসিয়েটস ইনকরপোরেশন জানিয়েছে। তিনি তার বাড়িতে মারা যান বলে জানানো হয়েছে। তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর।

হেনরি কিসিঞ্জার ১৯২৩ সালে জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেন। নাৎসি জার্মানি থেকে পলায়নপর পরিবারের সাথে ১৯৩৮ সালে তিনি প্রথম যুক্তরাষ্ট্র্রে আসেন। তিনি ১৯৪৩ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করে তিন বছর মার্কিন সেনাবাহিনীতে কাজ করেন। পরে কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সিতেও দায়িত্ব পালন করেন।ব্যাচেলার, মাস্টার্স এবং পিএইচডি ডিগ্রির পর তিনি হার্ভার্ড থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে ডিগ্রি নেন।

তিনি ১৯৬৯ সালে ওই সময়ের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের জাতীয় উপদেষ্টা হন। এই পদটি তাকে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে ব্যাপক প্রভাব এনে দেয়। নিক্সন প্রশাসনে তিনি পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। পরে তিনি ফোর্ড প্রশাসনেও একই দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ১৯৭৭ সালে সরকারি দায়িত্ব ত্যাগ করলেও সরকারি বিভিন্ন বিষয়ে অভিমত প্রদান অব্যাহত রাখেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রেসিডেন্ট ও আইনপ্রণেতা তার কাছ থেকে নিয়মিত পরামর্শ নিতেন।

তিনি বেশ কয়েকটি কোম্পানির পরিচালনা পরিষদেও কাজ করেছেন। এছাড়া লিখেছেন ২১টি গ্রন্থ। বর্তমান স্ত্রীর সাথে তার দাম্পত্য জীবন রয়েছে ৫০ বছর ধরে। তার আগের স্ত্রীর মাধ্যমে তার দুই সন্তান এবং পাঁচ নাতি-নাতনি রয়েছে।

হেনরি কিসিঞ্জার ‘বিতর্ক’
কিসিঞ্জার ব্যাপকভাবে পরিচিত হয়ে ওঠেন ১৯৭০-এর দশকে একের পর এক যুগান্তরকারী ঘটনায় ভূমিকা রাখার জন্য। তিনি নিক্সন ও ফোর্ড প্রশাসনের অধীনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে ওই সময় গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজে হাত দিয়েছিলেন। জার্মানিতে জন্মগ্রহণকারী এই ইহুদি উদ্বাস্তু চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক সূচনায় নেতৃত্ব দেন, যুক্তরাষ্ট্র-সোভিয়েত অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আলোচনা শুরু করেন, ইসরাইল এবং এর আরব প্রতিবেশীদের মধ্যে সম্পর্ক সম্প্রসারণ করেন, উত্তর ভিয়েতনামের সাথে প্যারিস শান্তি চুক্তি করেন।

হেনরি কিসিঞ্জারকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে মার্কিন কূটনীতির প্রতীক বিবেচনা করা হলেও অনেকেই তাকে বিতর্কিত তকমা দিয়ে থাকেন। বিতর্কিত ভূমিকার জন্য তাকে অনেকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলেও অভিযুক্ত করে থাকেন।

কম্বোডিয়া ও লাওসে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সম্প্রসারণ, চিলি ও আর্জেন্টিনায় সামরিক অভ্যুত্থানে সমর্থন, ১৯৭৫ সালে পূর্ব তিমুরে ইন্দোনেশিয়ার রক্তক্ষয়ী অভিযানের পক্ষে অবস্থান নেওয়া এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর ব্যাপক নৃশংসতার বিষয়ে চোখ বন্ধ রাখা-এসব অভিযোগ রয়েছে কিসিঞ্জারের বিরুদ্ধে।

এছাড়া দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের পর হেনরি কিসিঞ্জার মন্তব্য করে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ একটি তলাবিহীন ঝুড়ি হতে যাচ্ছে।’

সূত্র: সিএনবিসি নিউজ, সিবিএস নিউজ, বিবিসি, স্কাই নিউজ, নিউইয়র্ক পোস্ট।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ