নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় বৃদ্ধি ও প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায়ের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ২০৬ জন কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করেছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। এদের মধ্যে ৪২ জন কর্মকর্তাকে দেওয়া হয় ‘২০ ইয়ার্স অব সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’। দীর্ঘ দুই দশক ধরে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানে মেধা ও শ্রম দেওয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের এই পুরস্কার ও সম্মাননা দেওয়া হয়।
পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগের ৩০ জন কর্মকর্তাকে চলতি বছরের নভেম্বর মাসের ‘বেস্ট এম্প্লয়ি’ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। কোম্পানিতে তাদের ডেডিকেশন, প্যাশন, পরিশ্রম ও অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কৃত করে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া, ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে অসামান্য অবদান রাখায় ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্ক, মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্ক ও করপোরেট সেলস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের ৭০ জন সেলস এক্সিকিউটিভসকে পুরস্কৃত করেছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, ইলেকট্রিসিটি সেভিং ক্যাম্পেইন, লোকাল ব্র্যান্ডিংসহ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে আরও ৬৪ জন কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করা হয়।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত ‘গ্র্যান্ড রিকগনিশন অ্যান্ড অ্যাওয়ার্ড সেরেমনি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তাদের পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট, সম্মাননা ও চেক তুলে দেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) এস এম মাহবুবুল আলম এবং ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার এমডি মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটনের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর এমদাদুল হক সরকার ও মেজর জেনারেল (অব.) ইবনে ফজল শায়েখুজ্জামান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রিজওয়ানা নিলু ও হুমায়ুন কবীর, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান, আরিফুল আম্বিয়া, মফিজুর রহমান জাকির, ফিরোজ আলম এবং হেড অব এইচআর খন্দকার ইশতিয়াক মাহমুদ প্রমুখ।
ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চলতি বছরে পণ্য বিক্রির সব লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর, মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর এবং করপোরেট সেলস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক। গত বছরের এই সময়ের তুলনায় সেলস রেভিনিউতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এই সাফল্য অর্জনে বিশেষ অবদান রাখায় সংশ্লিষ্টদের পুরস্কৃত করা হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ওয়ালটন হাই-টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, ওয়ালটন পরিবারের সবাইকে সবসময় হাসিখুশি দেখতে চাই। তাদের জীবন সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে সেটি আমাদের প্রাথমিক প্রত্যাশা। তাই সেরা কর্মীদের পুরস্কৃত করার এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন। আমাদের লক্ষ্য এখন বিশ্বজয়। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে পৌঁছাতে দরকার আপনাদের অকুণ্ঠ সহায়তা। ওয়ালটনের প্রতিটি পণ্যের জন্য নিরঙ্কুশ মার্কেট শেয়ার অর্জন করা আমাদের টার্গেট। এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে গুরুত্বপূর্ণ দিক-নিদের্শনা দেন।
অনুষ্ঠানে ‘২০ ইয়ার্স অব সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ ও সম্মাননা পেয়ে দারুণ খুশি ওয়ালটনের ফিন্যান্স অ্যান্ড ট্রেজারি বিভাগে কর্মরত এস এম ফজলুল হক। ১৯৮৯ সালের ডিসেম্বরে ওয়ালটনে যোগ দেন তিনি। অতিবাহিত করেছেন ৩৪টি বছর। তিনি বলেন, জীবনের অর্ধেকটা সময় অতিবাহিত করেছি ওয়ালটনের সঙ্গে। সেজন্য ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়ে খুবই আনন্দিত। আগামী দিনগুলোতেও ওয়ালটনে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাবো।
অনুষ্ঠানে বেস্ট এম্প্লয়ি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার গ্রহণ করেন মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স বিভাগের ক্রিয়েটিভ অ্যান্ড পাবলিকেশন সেকশনের কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী। পুরস্কার পাওয়ার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, প্রায় ১৫ বছর ধরে ওয়ালটনের সঙ্গে রয়েছি। ওয়ালটনে কাজ করতে পারা গর্বের বিষয়। বেস্ট এম্প্লয়ি নির্বাচিত হয়ে ভালো লাগছে। এই পুরস্কার আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য আরও বাড়িয়ে দিলো। কর্তৃপক্ষের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।