1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৫ অপরাহ্ন

ভারতীয় গ্রিডে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১১১ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি করবে সরকার। এজন্য এইচভিডিসি সাব-স্টেশন ব্যবহার করা হবে। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এই বিদ্যুৎ আমদানি করতে বছরে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি টাকা।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধিকল্পে ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট একটি সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তি অনুযায়ী উভয় দেশের বিদ্যুৎ খাত উন্নয়নে সহযোগিতা ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ (জেডব্লিউজি) এবং জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটি (জেএসি) গঠন করা হয়। ওই সভায় বাংলাদেশের ভেড়ামারায় ভারতীয় গ্রিড এবং বাংলাদেশের গ্রিডের সংযোগকারী এইচভিডিসি সাব-স্টেশনের অব্যবহৃত ক্যাপাসিটি ব্যবহারের মাধ্যমে নেপাল থেকে ৪০-৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির সিদ্ধান্ত হয়। নেপাল থেকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ আমদানি করার ক্ষেত্রে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহারের প্রয়োজন হবে বিধায় বাংলাদেশ এবং নেপাল থেকে পৃথকভাবে ভারতের এনপিটিসি বিদ্যুৎ ভিয়াপার নিগম লিমিটেড (এনভিভিএন) এর কাছে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

বাংলাদেশ-নেপাল ৪র্থ জেএসসি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভেরামারা এইচভিডিসি সাব-স্টেশনের অব্যবহৃত ক্রাপাসিটি ব্যবহারের মাধ্যমে নেপাল থেকে ৪০-৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানির বিষয়ে সম্মতির জন্য নেপাল ইলিক্ট্রিক অথরিটি (এনইএ) এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বাবিউবো) থেকে ভারতের এনভিভিএন-এর কাছে আলাদা অলাদাভাবে চিঠি পাঠানো হয়। তাতে ২০২৩ সালের ১৩ মে ভারতের এনভিভিএন সম্মতি দেয়।

উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ খাত উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগ (জেভি) প্রকল্প, উৎপাদন খাতে আঞ্চলিক বিনিময়, প্রতিবেশী দেশ থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ের বিষয়ে গৃহীতব্য কার্যক্রম যথাদ্রুত বাস্তবায়নে পরামর্শ দেওয়ার জন্য গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির পরামর্শ নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে আলোকে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানির লক্ষ্যে ওই কমিটির সভা ২০২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ‘নেপালের এনইএ ও ভারতের এনভিভিএন উভয়ই সংশ্লিষ্ট দেশ দুটির এ সংক্রান্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থা হওয়ায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এক্ষেত্রে পিপিএ-২০০৬ এবং পিপিআর-২০০৮ এ বর্ণিত সরাসরি ক্রয় অনুসরণ করে তাদের সঙ্গে ট্যারিফ ও অন্যান্য চার্জ নির্ধারণ করতে পারে।’

সূত্র জানায়, এ প্রেক্ষিতে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানির লক্ষ্যে, বাবিউবো প্রস্তাব করে।

উল্লেখ্য, জ্বালানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ও সরবরাহের প্রতিবন্ধকতা বিবেচনায় নিয়ে সরকার প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে বিদ্যুৎ আমদানির উদ্যোগ গ্রহণ করে। বর্তমানে বাংলাদেশ ভারত থেকে তিনটি সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে ২৬৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে।

সূত্র জানায়, ভেড়ামারায় এইচভিডিসি সাব-ষ্টেশনের ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করার সক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে এই সাব-ষ্টেশনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৯৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে। সাব-ষ্টেশনটির অব্যবহৃত ক্ষমতা ব্যবহার করে নেপাল থেকে ভারতের সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি করা সম্ভব। নেপালের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, বর্ণিত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাবে এবং বৎসরে আনুমানিক ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ