নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদায়ী নভেম্বর মাসে দেশে ৫৬৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৫ জন নিহত এবং ৬০৫ জন আহত হয়েছে। একই সময় রেলপথে ৩১টি দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত, ২৫ জন আহত হয়েছে। নৌপথে ছয়টি দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত এবং একজন নিখোঁজ রয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৬০টি দুর্ঘটনায় ৫০৩ জন নিহত এবং ৬৩০ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদন তুলে ধরে সংগঠনটি।
এই সময়ে ১৪৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৭৩ জন নিহত, ৮৫ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ২৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ, নিহতের ৩০ দশমিক ৫৬ শতাংশ ও আহতের ১৫ দশমিক ০১ শতাংশ। এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে, ১৮৩টি। সড়ক দুর্ঘটনায় ১১৫ জন নিহত ও ১৩৮ জন আহত হয়েছে, সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে সিলেট বিভাগে, ২২টি। সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ২৬ জন আহত হয়েছে।
সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ২১ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৩৩ জন চালক, ৫৪ জন পথচারী, ২০ জন পরিবহন শ্রমিক, ৬৭ জন শিক্ষার্থী, তিনজন শিক্ষক, ৬৪ জন নারী, ৪৪ জন শিশু, দুইজন সাংবাদিক, দুইজন চিকিৎসক, একজন আইনজীবী, দুইজন প্রকোশলী, একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং ১২ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।
এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৮২৭ টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২০ দশমিক ৭৯ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ৩৪ দশমিক ৬২ শতাংশ বাস, ১০ দশমিক ৫১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৬ দশমিক ৫২ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৫ দশমিক ৩২ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪০ দশমিক ৮১ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১০ দশমিক ২৪ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৩৪ দশমিক ৬২ শতাংশ বিবিধ কারণে এবং দশমিক ৩৫ ট্রোন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে।
দুর্ঘটনার ধরণ বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪২ দশমিক ৫৭ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ১৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২১ দশমিক ৫৫ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ১৩ দশমিক ০৪ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও দশমিক ৩৫ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।