নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ হেডকোয়ার্টার্সের ২১৭ জন কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করেছে বাংলাদেশি ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। তাদের মধ্যে ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সের ১৯ জন কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে ‘২০ ইয়ার্স অব সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’।
দীর্ঘ দুই দশক ধরে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানে মেধা ও শ্রম দেওয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের এই পুরস্কার ও সম্মাননা দেওয়া হয়। এছাড়া চলতি বছরের অক্টোবর মাসে সেরা কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সের বিভিন্ন বিভাগের ১৯৮ জনকে ‘বেস্ট পারফরমার অব দ্য মান্থ’ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর ২০২৩) সকালে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট, সম্মাননা ও চেক তুলে দেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) এস এম মাহবুবুল আলম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেকের পরিচালক জাকিয়া সুলতানা এবং ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) নিশাত তাসনিম শুচি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার এমডি মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটনের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেজর জেনারেল (অব.) ইবনে ফজল শায়েখুজ্জামান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলী, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর তাপস কুমার মজুমদার, তানভির রহমান, ফিরোজ আলম, শাহীনুর সুলতানা রেখা, মফিজুর রহমান জাকির প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ওয়ালটন হাই-টেকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, ওয়ালটনের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধিতে আপনাদের অনেক ত্যাগ এবং অসামান্য অবদান রয়েছে। আপনাদের কর্মতৎপরতায় ওয়ালটন এখন দেশের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য এখন বিশ্বজয়। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডে পরিণত হতে চাই আমরা। সেটি সম্ভব হবে আপনাদের অব্যাহত ঐকান্তিক প্রচেষ্টার মাধ্যমেই। ওয়ালটনের উন্নতি মানে আপনাদের, দেশের অর্থনীতির এবং মানুষের উন্নয়ন। তাই ওয়ালটনের অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে আপনাদের অনেক বেশি দায়িত্ব রয়েছে।
অনুষ্ঠানে ‘২০ ইয়ার্স অব সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ ও সম্মাননা পেয়ে দারুণ খুশি করিম বাদশা। ১৯৯২ সালের জুন মাসে ওয়ালটনে কর্মজীবন শুরু করেন। পুরস্কার ও সম্মাননা প্রাপ্তির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় করিম বাদশা বলেন, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যেখানে কর্মীদের বয়স হলে কিভাবে বিদায় দেবে সেই তোড়জোড় করে। সেখানে ওয়ালটন আমাদের সম্মাননা জানাচ্ছে। এখানেই ওয়ালটন সবার থেকে আলাদা। ওয়ালটনে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত। ওয়ালটন আরও বড় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হোক সেটিই আমাদের প্রত্যাশা। আগামী দিনগুলোতেও সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাব এটিই আমার প্রতিজ্ঞা। এ সময় ওয়ালটনের জন্য সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে আহ্বান জানান তিনি।
মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান।