নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মৌচাক-মগবাজারের পর মহাখালী ফ্লাইওভারে শুরু হলো সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ। মূলত পোস্টার লাগানো ঠেকাতেই ঢাকার ফ্লাইওভারের পিলারে গ্রাফিতি আঁকার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মগবাজার ফ্লাইওভারের মতো মহাখালী ফ্লাইওভারেও বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতির মাধ্যমে সাজানো হয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকটি পিলারের অংশের কাজ শেষ হয়েছে। শহরকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পিলারে আঁকা এসব চিত্রকর্মের মাধ্যমে কিছু ‘শিক্ষণীয়’ বার্তাও দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে আছে ‘হর্ন বাজানো নিষেধ’, ‘শহরটাকে ভালোবাসি’, ‘দেশটাকে ভালোবাসি’, ‘গাছ লাগাই পরিবেশ বাঁচাই’ সহ নানা স্লোগান। যাতে মানুষ পরিবেশ সুরক্ষায় সচেতন হয়। পাশাপাশি ফ্লাইওভারের বিভিন্ন পিলারে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। যাতে কেউ এসব চিত্রকর্ম নষ্ট করতে না পারে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে (রাওয়া ক্লাবের সামনে) পিলারে করা গ্রাফিতির কাজের উদ্বোধন শেষে এসব কথা জানান মেয়র।
ডিএনসিসি এলাকার প্রত্যেকটি ফ্লাইওভারেই এই দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতি আর্ট করা হবে জানিয়ে মেয়র আতিক বলেন, প্রথমে মগবাজার ফ্লাইওভারের পিলারে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করা হয়েছে। এরপর মহাখালী ফ্লাইওভারের পিলারেও বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতির মাধ্যমে সাজানো হচ্ছে।
এই গ্রাফিতি আর্ট যেখানে সেখানে পোস্টারিং বন্ধে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় শহরের নামি রিকশা পেইন্টাররা গ্রাফিতির কাজ করছেন। এসব গ্রাফিতির রঙ করার কাজে সাহায্য করছে বার্জার পেইন্টস।
মহাখালী ফ্লাইওভারে গ্রাফিতি প্রসঙ্গে ডিএনসিসির মেয়র বলেন, আমরা একটি সুস্থ, সুন্দর, আধুনিক ঢাকা চাই। তাই পরিবেশ সুন্দর রাখতে, যত্রতত্র পোস্টার লাগানো বন্ধ করতে শুধু মগবাজার বা মহাখালী ফ্লাইওভার নয়, শহরের অন্যান্য ফ্লাইওভারেও সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতির কাজ করা হবে। সব ফ্লাইওভারে পর্যায়ক্রমে নানা রঙে রঙিন করে সাজানো হবে। এসব কাজ করতে আমাদের পাশে থাকার জন্য বার্জারের রূপালী চৌধুরীকে অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান মেয়র আতিক।