নিজস্ব প্রতিবেদক : ওয়ালটন ল্যাপটপ প্যাকেজিং ডিজাইন কনটেস্ট বিজয়ীদের পুরস্কৃত করলো কর্তৃপক্ষ। প্রতিযোগিতায় ওয়ালটন কম্পিউটার পণ্যের প্যাকেজিংয়ের ভিন্নধর্মী ও নজরকাড়া আকর্ষণীয় ডিজাইন করে ১৩ জন সর্বমোট ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা জিতে নিলেন।
চ্যাম্পিয়ান ডিজাইনার পেয়েছেন ২ লাখ টাকা। প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ যথাক্রমে ৫০ হাজার এবং ৩০ হাজার টাকা। পরবর্তী ১০ জন সেরা ডিজাইনারের প্রতিজন পেয়েছেন ১০ হাজার টাকা করে পুরস্কার।
‘আপনার প্রতিভা দেখবে দুনিয়া’ স্লোগানে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড আয়োজিত সৃজনশীল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন দেশের অসংখ্য শিক্ষার্থী, মুক্ত পেশাজীবী (ফ্রিল্যান্সার) এবং পেশাদার ডিজাইনারগণ।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর, ২০২৩) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসের কনফারেন্স হলে আয়োজিত ‘ওয়ালটন ল্যাপটপ প্যাকেজিং ডিজাইন কনটেস্ট অ্যাওয়ার্ড গিভিং সেরিমনি’ শীর্ষক প্রোগ্রামে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চারুকলা অনুষদের অঙ্কন ও চিত্রায়ন বিভাগের অধ্যাপক শেখ আফজাল হোসেন এবং অধ্যাপক শিশির ভট্টাচার্য। তারা তিনজন প্রতিযোগিতার জুরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন। ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ান হয়ে ২ লাখ টাকা জিতে নিয়েছেন শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি’র শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান। প্রথম রানার আপ হয়ে ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন বাগেরহাটের ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি’র শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ফাইজুল করিম। আর দ্বিতীয় রানার-আপ হয়ে ৩০ হাজার টাকা জিতেছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তাসনিম মাহমুদ আশিক।
চতুর্থ বিজয়ী হিসেবে প্রত্যেকে ১০ হাজার টাকা করে পুরস্কার পেয়েছেন ১০ জন ডিজাইনার। তারা হলেন- চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (চুয়েট) এর মেকাট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের লেকচারার এস. এম. ফাহিম ফয়সাল, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটির গ্রাফিক্স ডিজাইন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া বিভাগের লেকচারার সিরাজুস সালেকিন, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিক ডিজাইনার রেজাউল করিম রেজা, এনভিশন ডিজাইন স্টুডিও’র ডিজাইনার এসএম আনোয়ার আমজাদ হোসেইন, ফ্লাই হাব বাংলাদেশের ডিজাইনার মো. বিল্লাল হোসেইন, ফ্রিল্যান্স ডিজাইনার মো. তানজির রহমান, অমি শংকর আইন, হাবিবুর রহমান সিজান, মুকুল রেজা এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী এস. এম. নাজিরুজ্জামান নিশাত।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেন, ‘ওয়ালটন আমাদের গর্বের প্রতিষ্ঠান। দেশের গন্ডি পেরিয়ে ওয়ালটন বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের পতাকা বহন করছে। নিঃসন্দেহে ওয়ালটনের এই অগ্রযাত্রা আমাদের জন্য গর্বের। ওয়ালটন বিশ্বমানের পণ্য তৈরি করছে। এই প্রতিযোগিতা থেকে বিশ্বমানের ডিজাইন বেরিয়ে এসেছে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
সভাপতির বক্তব্যে এস এম রেজাউল আলম বলেন, ‘ডিজাইনিং হলো শিল্পকর্মের অন্যতম শাখা। একটা পণ্যের ভিতরে-বাইরে সমানভাবে উচ্চমানসম্পন্ন হতে হয়। আমরা বিশ্বমানের পণ্য তৈরি করছি। ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রির মূল কমপোনেন্ট মাদারবোর্ড তৈরি করছি। আমরা চেয়েছি পণ্যের বাইরের মোড়কের নকশার সঙ্গে আমাদের দেশের মেধাকে সম্পৃক্ত করতে। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তারই প্রতিফলন ঘটেছে। ল্যাপটপ প্যাকেজিং কনটেস্টে এমন বিপুল সাড়ায় আমরা অভিভূত। ভবিষ্যতেও আমাদের এ ধরনের উদ্যোগ চলমান থাকবে।’
বিজয়ীরা তাদের অনুভূতি প্রকাশকালে এমন একটি সৃজনশীল প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য ওয়ালটন ডিজি-টেক কর্তৃপক্ষকে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানান।