জেলা প্রতিনিধি, রাজশাহী : রাজশাহী সীমান্ত থেকে মোশাররফ হোসেন মুশা (১৯) ও কাওসার আলী (১৮) দুই তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে খাড়ির পানিতে লাশ দুটি ভাসতে দেখে স্থানীয় জেলেরা গ্রামে খবর দেন। পরে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে লাশ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যান৷ এ দুই তরুণ কাজের সন্ধানে গত ১৯ ডিসেম্বর সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
মারা যাওয়া মোশাররফ হোসেন মুশা রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত লাগোয়া চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের চর কানাপাড়া গ্রামের আতিকুল ইসলামের ছেলে ও কাওসার আলী একই গ্রামের মো. শুকুদ্দীর ছেলে। দুজনের চোখে-মুখে রক্ত লেগেছিলো।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ১৯ ডিসেম্বর একই গ্রামের ৬-৭ জন তরুণ কাজের জন্য ভারতের চেন্নাই যেতে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করেন। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা তাদের ধাওয়া দেন। ধাওয়া খেয়ে কাওসার ও মোশাররফ ছাড়া বাকিরা গ্রামে ফিরে আসেন৷ আর ওই দুজন নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার সকালে দুই দেশের ভেতর দিয়ে যাওয়া পদ্মার একটি খাড়িতে দুজনের লাশ পাওয়া যায়। এই এলাকাটির নাম চর হনুমন্তনগর। যেখানে লাশ ভাসছিলো সেই স্থানটি ভারতীয় সীমান্ত থেকে প্রায় এক কিলোমিটার বাংলাদেশের ভেতরে।
ওসি আরও জানান, মারা যাওয়া দুজনের চোখে-মুখে রক্ত লেগেছিলো। তবে সুরতহালের সময় আঘাত কিংবা শরীরে অন্যকিছু হয়েছে কিনা বোঝা যায়নি। যারা ধাওয়া খেয়ে গ্রামে ফিরেছেন, তারাও দুজনের মৃত্যুর ব্যাপারে কিছু বলতে পারছে না। তাদের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রাজশাহীর ১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মতিনুল ইসলাম জানান, দুই দিন আগে দুই তরুণের পরিবার তাদের নিখোঁজ থাকার বিষয়টি তাদের জানিয়েছিলো। এরপর বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বিএসএফ তাদের বিষয়ে কিছু জানে না বলে বিজিবির কাছে দাবি করে। আজ সকালে দুই তরুণের লাশ উদ্ধারের কথা শুনেছেন তিনি।