লাইফ স্টাইল ডেস্ক : বাম হাতের অনামিকায় পরিয়ে দেওয়া হয় বিয়ের আংটি। আর বামপাশেই থাকে হৃদয়। এই দুইয়ের যোগাযোগ যেন সহজ হয়, এই আমাদের প্রত্যাশা। বলতে গেলে এই অলংকারটি বিয়ের গয়নার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং আংটি কেনার সময় ভুল করা যাবে না।
এই আংটির পরতে পরতে লেগে থাকে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরুর মাধুর্য। আর ফুটে ওঠে প্রতিশ্রুতি। বিয়ের আংটি মানে বিশেষ দিনের স্মৃতি। স্বাভাবিক ভাবেই আংটির ডিজাইন নিয়ে আমরা বেশ সচেতন থাকি। আসলে প্রথমে খেয়াল রাখা উচিত আংটিটি আঙুলের গঠনের সঙ্গে মানানসই কিনা।
আঙুলের গঠন ও মাপ অনুযায়ী আংটির আকার ঠিকঠাক হলে হাত দেখাবে আরও সুন্দর। এতে স্নিগ্ধ ও আকর্ষণীয় লুক পাওয়া যায়।
আঙুলের আকৃতি ছোট হলে ডিম্বাকার আকৃতির আংটি মানানসই। এর পাশাপাশি বিভিন্ন জ্যামিতিক আকারের আংটিও ছোট আঙুলে মানিয়ে যায়। শুধু তাই না ছোট আঙুলে ডিম্বাকার বা জ্যামিতিক আকারের আংটি পরলে আঙুলের আকার খানিকটা বড় দেখায়।
হাতের আঙুল লম্বাটে হলে গোলাকার অথবা একটু চাঙ্কি ডিজাইনের আংটি ভালো লাগবে। তবে মুক্তা অথবা ডিম্বাকার আংটি এড়িয়ে চলাই ভালো।
যাদের আঙুল তুলনামূলকভাবে সরু, তাদের জন্য পারফেক্ট হচ্ছে গোলাকার পাথর বসানো আংটি। একটু মোটা ও পুরু আংটি সরু আঙুলকে কিছুটা হলেও মোটা দেখাতে সাহায্য করে। মোটা আঙুলে বড় পাথর দেওয়া ডিজাইনের আংটি পরলে আঙুল সরু দেখাবে। এতে হাতের সৌন্দর্য বেড়ে যায়।
শুধু আঙুলই নয় আংটি কেনার আগে হাতের গড়নও বিবেচনায় নিতে হবে। যাদের হাতটি বড় ধরনের, তারা বড় আকারের পাথরের আংটি অথবা চাঙ্কি আংটি পরতে পারেন।
বড় হাতে ছোট আকারের বা ছোট পাথর বসানো আংটি ভালো লাগে না। আবার ছোট হাতের ক্ষেত্রে বড় আকারের আংটি না পরা ভালো।
বিয়ের আংটি বলে কথা, এটি হওয়া চাই হাত আর আঙুলের সঙ্গে মানানসই। কেননা এতেই দুটি মানুষের একসঙ্গে পথচলার প্রতিশ্রুতি না লিখেও লেখা থাকে। এই আংটি শুধু আংটি নয়, এ যেন তার থেকেও অনেক বেশি কিছু।