1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৫ অপরাহ্ন
হেডলাইন :
সাউথইস্ট ব্যাংক ও বেঙ্গল গ্লাস ওয়ার্কসের মধ্যে সমঝোতা স্মারক  শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনে কঠোর হতে চাই না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ওয়ালটন ডেস্কটপে বিশাল মূল্যহ্রাস, অনলাইন অর্ডারে আরো ১০% ছাড় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যাত্রাবাড়ী-ডেমরায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন ওয়ালটনের সঙ্গে সিটি ব্যাংকের এমপ্লয়ি গ্রিন ব্যাংকিং চুক্তি  নারায়ণগঞ্জে সোনালী ব্যাংকের মিট দ্য বরোয়ার ও গ্রাহক সমাবেশ ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট কমল আরও ৫ শতাংশ শিক্ষায় কমপক্ষে জিডিপির ৫ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হবে: তারেক রহমান এবার ভরিতে ২৯৩৯ টাকা বাড়ল সোনার দাম ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

বিশ্বের সবচেয়ে বড় লাইব্রেরি যুক্তরাষ্ট্রে

  • আপডেট সময় : বুধবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১১৮ বার দেখা হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট : গিনেজ বুক অব রেকর্ডসের তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর বৃহত্তম লাইব্রেরি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের লাইব্রেরি অব কংগ্রেস। লাইব্রেরি অব কংগ্রেসে ইংরেজি ভাষার বিপুল পরিমাণ বই রয়েছে। এছাড়াও প্রায় সাড়ে চারশো বিভিন্ন ভাষার বই আছে।

এই লাইব্রেরিতে প্রতিদিন যুক্ত হয় প্রায় ১০ হাজার নতুন বই। যা বছরে প্রায় দুই মিলিয়নের মতো। লাইব্রেরিতে গচ্ছিত থাকা বইগুলোর ভেতর আকারের দিক সবচেয়ে বড় বইটি ভুটান বিষয়ক। এটি ৫X৭ ফুট। সর্বপ্রথম ১৯৯০ সাল থেকে লাইব্রেরির সংগ্রহ ডিজিটাল মাধ্যমে নেয়া শুরু হয়।

লাইব্রেরি অব কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা পায় যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামসের সময় ১৮০০ সালে। এই লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠায় প্রথমত পাঁচ হাজার ডলার (বর্তমান হিসেবে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার ডলার) বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। শুরুতে লাইব্রেরিটি শুধুমাত্র কংগ্রেসের সদস্যরা ব্যবহার করতে পারতেন। ১৮০২ সালের আগ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট আর ভাইস প্রেসিডেন্টেরও প্রবেশাধিকার ছিল না।

৭৫০টি বই দিয়ে লাইব্রেরির যাত্রা শুরু হয়। ১৮১২ সালে লাইব্রেরিটি রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের শিকার হয়। ইংল্যান্ডের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে তৎকালীন ব্রিটিশ রাজের অধীনস্থ কানাডায় আক্রমণ করে মার্কিন সেনারা। ১৮১৩ সালের এপ্রিলে তৎকালীন কানাডিয়ান রাজধানী ইয়র্ক (বর্তমান টরন্টো) পুড়িয়ে দেয় তারা। ১৮১৪ সালের ২৪ আগস্ট কানাডিয়ান আর ব্রিটিশ সেনারা হামলা চালায় ওয়াশিংটনে। অনেক কিছুর সাথে পুড়িয়ে দেয়া হয় ক্যাপিটল বিল্ডিং। সেবার রক্ষা পায়নি ভেতরে থাকা লাইব্রেরিটিও।

লাইব্রেরি অব কংগ্রেস ভবন১৮১৫ সালের ৩০ জানুয়ারি নতুন করে পাঠাগারের জন্য বাজেট দেয়া হয়। ১৮১৮ সালে ক্যাপিটল বিল্ডিং আবার নির্মিত হয়। এরপর থেকে নতুন নতুন বই যুক্ত হতে থাকে পাঠাগারে। আবার ১৮৫১ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুর্ঘটনাক্রমে আগুন লাগে এবং পুড়ে যায় ৩৫ হাজার বই। মার্কিন গৃহযুদ্ধের আগপর্যন্ত জনসাধারণের জন্য লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের দরজা বন্ধ ছিল।

যুদ্ধের সময় প্রেসিডেন্ট লিংকন লাইব্রেরিয়ান হিসেবে নিযুক্ত করেন র‌্যান্ড স্পোফোর্ডকে। তিনি ১৮৬৪ থেকে ১৮৯৭, দীর্ঘ ৩৩ বছর পাঠাগার পরিচালনা করেন। তার আগ্রহেই সাধারণ মানুষের জন্য লাইব্রেরি উন্মুক্ত করে দেয় কংগ্রেস। ১৮৭০ সালে মার্কিন কপিরাইট আইন তৈরি ও প্রয়োগও করেন র‌্যান্ড স্পোফোর্ড। তার চাপেই নিয়ম করা হয় কপিরাইটের আবেদনের সাথে সেই কাজের কপি জমা দিতে হবে লাইব্রেরিতে। ফলে সংগ্রহ বাড়তে থাকে হু হু করে। লাইব্রেরি অব কংগ্রেস বিভিন্ন দেশ থেকে বইপত্র সংগ্রহ করে। এজন্য তারা ভারত, মিশর, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়াসহ অন্তত ৬০টি দেশে শাখা অফিস খুলেছে।

লাইব্রেরি অব কংগ্রেসে ঢুকতে গেলে থাকতে হবে রিডার আইডি কার্ড। লাইব্রেরির কিছু কিছু অংশে আঠারো বছরের আগে প্রবেশ নিষেধ। বই পড়তে হবে লাইব্রেরিতে বসে, বাড়িতে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিশ্বের সব থেকে বড় লাইব্রেরিতে পুরো ভবনের সমস্ত বুকশেলফের দৈর্ঘ্য যোগ করলে হয় ৮৩৮ মাইল। ২০২০ সালের হিসেব অনুযায়ী সেখানে আছে ২৫ মিলিয়ন বই। এছাড়া সেখানে রয়েছে ৭৪.৫ মিলিয়ন পান্ডুলিপি। ৫.৬ মিলিয়ন মানচিত্র। ৪.২ মিলিয়ন অডিও রেকর্ড ইত্যাদি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ