জেলা প্রতিনিধি, চাঁদপুর : চাঁদপুর জেলায় নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত খামারের সংখ্যা কমেছে। বন্ধ হয়ে গেছে ৭০৮টি খামার।
জেলা প্রাণিসম্পদ সূত্রে জানা গেছে , চাঁদপুর জেলায় নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মিলিয়ে গরু, মুরগি, ছাগল, হাঁস, টার্কি, কবুতরসহ বিভিন্ন প্রজাতির মোট খামার রয়েছে ৯ হাজার ৫১৫টি। গত ৭ বছরে বন্ধ হয়ে গেছে ৭০৮টি খামার। বন্ধ হওয়া খামারের মধ্যে গরুর খামার ৩২৬টি, পোলট্রি খামার ২২২টি। ফলে বেকার হয়ে পড়েছেন প্রায় ২ হাজার খামারি ও শ্রমিক।
খামারি গনি মিয়া জানান, মুরগির খাদ্য ও ওষুধের দাম বৃদ্ধির কারণে খামার ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ার উপক্রম হয়েছে। প্রতিনিয়ত লোকশান হওয়ায় পুঁজি হারাচ্ছেন তিনি। খামারে কোনো শ্রমিক রাখছেন না।
পুরানবাজারে গরুর খামারি হাসিবুল হাসান মুন্না বলেন, দুধ কিংবা গরু বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া যায়, তাতে খরচ বাদ দিয়ে লাভ খুব একটা থাকে না।
খামারিরা বলছেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতা পেলে বন্ধ হওয়া খামার আবার চালু করা সম্ভব। এতে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি সৃষ্টি হবে নতুন কর্মসংস্থান।
চাঁদপুর জেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুধের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২ দশমিক ১ লাখ মেট্রিক টন। মাংসের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১ দশমিক ১২ মেট্রিক টন এবং ডিমের চাহিদা রয়েছে ৩১ দশমিক ১০ কোটি পিস। তবে অনেক খামার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জ্যোতির্ময় ভৌমিক বলেন, বৈদেশিক মন্দা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে দেশে পোলট্র্রি ও গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে। এতে করে বেশ কিছু পোলট্রি ও গরুর খামারি তাদের খামার বন্ধ করে দিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা নিবন্ধনের মাধ্যমে ব্যাংকে আবেদন করলে স্বল্প সুদের বিনিময়ে ঋণ সুবিধা পাবেন।