নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে পৃথক অভিযানে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা দামের ৪১ হাজার ৯০০ পিস ইয়াবা জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো অঞ্চল (উত্তর)। এ সময় ৯ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত পরিচালক মুজিবুর রহমান পাটোয়ারী সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, রোববার (২১ জানুয়ারি) থেকে সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে একাধিক সার্কেলের সমন্বয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলো ওমং তইন চাকমা, কেরামা চাকমা, পাইয়াদীবী চাকমা, বামাংথাই চাকমা, মো. আলী হায়দার রাববী, মুমিনা খাতুন, মো. দিদার হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মো. মনির হোসেন। তাদের কাছ থেকে ৪১ হাজার ৯০০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। এসব ইয়াবার বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চক্রটিকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয় : ইয়াবার বেশ কয়েকটি চালান কক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে ঢাকায় ঢুকবে, এ তথ্যের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে যাত্রাবাড়ী ও সায়দাবাদ এলাকায় একাধিক অভিযান চালানো হয়।
ব্যবসার কৌশল : গ্রেপ্তারকৃতরা মূলত মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান সংগ্রহ করে ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী জেলায় সরবরাহ করার পরিকল্পনা করছিল। ওমং তইন চাকমা, কেরামা চাকমা, পাইয়াদীবী চাকমা ও বামাংথাই চাকমা মূলত রাঙামাটি ও বান্দরবানকেন্দ্রিক একটি মাদক সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য। ঢাকার একটি মাদক সিন্ডিকেটের সঙ্গে আঁতাত করে তারা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
মুমিনা খাতুন ও মো. আলী হায়দার রাববী যশোরকেন্দ্রিক ইয়াবা পাচার সিন্ডিকেটের সদস্য। মো. দিদার হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মো. মনির হোসেনের মূল পেশা ট্রাক চালানো। এর আড়ালে তারা ইয়াবা পরিবহন করত। ইয়াবার একটি বড় চালান নিয়ে তারা ঢাকায় প্রবেশ করবে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে একটি কাভার্ডভ্যানে ২৮ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবাসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। নিজেদের আড়াল করার জন্য তারা বিভিন্ন এনক্রিপটেড অ্যাপস ব্যবহার করত।