নিজস্ব প্রতিবেদক : ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি পরিবারের নিকট ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির জন্য ৩৯১ কোটি ১৯ লাখ টাকার রাইস ব্রান অয়েল ও মসুর ডাল কিনবে সরকার। এর মধ্যে এক কোটি ২০ লাখ লিটার রাইস ব্রান ও ২০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে তেল ও ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নতুন সরকারের অধীনে এটি সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির প্রথম বৈঠক।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়, টিসিবি ৩ লটে এক কোটি ২০ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল সরাসরি ক্রয় (ডিপিএম) পদ্ধতিতে কিনতে স্থানীয় ৩টি প্রতিষ্ঠান (মজুমদার প্রডাক্ট, মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস ও আলী ন্যাচারাল অয়েল মিলস অ্যান্ড অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ) থেকে দরপ্রস্তাব চাওয়া হয়।
এর প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠান ৩টি দরপ্রস্তাব দাখিল করে। টিইসি থেকেও দরপ্রস্তাব ৩টি যাচাই-বাছাইয়ের পর নীতিগত অনুমোদন হয়। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশ করা ৩ প্রতিষ্ঠানকে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে ক্রয়ের প্রত্যাশামূলক অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে।
আরেক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ভারতের উমা এক্সপো প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই ডাল কিনতে ৯৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয় হবে। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০১ টাকা ১৩ পয়সা।
এ ছাড়া, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে বগুড়ার রয় এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস এবং ঢাকার নাবিল নবা ফুডস লিমিটেড থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এই ডাল কিনতে খরচ হবে ১০৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৫ টাকা ৪৫ পয়সা।