আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুদ্ধ-বিধ্বস্ত পশ্চিম মিয়ানমার থেকে মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় গ্রেপ্তার হয়েছে ১১০ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) স্থানীয় এক নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে খবরটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রোহিঙ্গাদের সাধারণত মিয়ানমারে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখা হয়। নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে তাদের। তা ছাড়া, ভ্রমণের জন্যও তাদের অনুমতির প্রয়োজন হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, মঙ্গলবার পূর্ব সোম রাজ্যের থানবিউজায়াত শহরে দুটি ট্রাক থেকে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ৫৯ জন পুরুষ এবং ৫৮ জন মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা থাইল্যান্ড হয়ে মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন।
রোহিঙ্গা দলটি রাখাইন রাজ্যের সিত্তওয়ে এবং মংডু থেকে প্রথমে নৌকায় ভ্রমণ করে। থাইল্যান্ডে যাওয়ার জন্য পরবর্তীতে থানবিউজায়াতের পাচারকারীরা তাদের ট্রাকে তুলে নেয়। এরপর পাচারকারীরাও তাদের ফেলে চলে যায়।
প্রতি বছর হাজার হাজার রোহিঙ্গা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে মিয়ানমার থেকে পালাতে চায়। তাদের গন্তব্যের তালিকায় থাকে বাংলাদেশের শরণার্থীশিবির, মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়া।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) মঙ্গলবার জানিয়েছে, ২০২৩ সালে মিয়ানমার অথবা বাংলাদেশ থেকে পালাতে গিয়ে সমুদ্রপথে অন্তত ৫৬৯ জন রোহিঙ্গা মারা গেছে, যা ২০১৪ সালের পর সর্বোচ্চ। গত বছর প্রায় সাড়ে চার হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার বা বাংলাদেশের শরণার্থীশিবির থেকে সমুদ্র যাত্রার চেষ্টা করেছিল।
ইউএনএইচসিআরের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিগত ১০ বছরে বঙ্গোপসাগর বা আন্দামান সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে অথবা নিখোঁজ হয়েছে অন্তত সাড়ে ৪ হাজার রোহিঙ্গা। এর আগে এক বছরে সমুদ্রে সর্বোচ্চ পরিমাণ রোহিঙ্গা মারা গিয়েছিল ২০১৪ সালে। সে বছর মোট ৭৩০ জন রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছিল।