জেলা প্রতিনিধি, বাগেরহাট : বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ এলাকায় এক নারীকে তিন যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে অভিযান চালিয়ে মো. রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে ধর্ষণের শিকার নারীকে উদ্ধার করে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার রবিউল ইসলাম বাগেরহাট সদর উপজেলার সুন্দরঘোণা গ্রামের শেখ আকবর আলীর ছেলে।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী বলেন, ‘আমার বাবা মারা গেছে। মায়ের সঙ্গে দীর্ঘ দিন যোগাযোগ নেই। একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতাম। এখন চাকরি নেই। আশ্রয়ের আশায় দেড় মাস আগে খুলনা থেকে বাগেরহাটের খান জাহান আলীর (রহ) মাজারে এসেছিলাম। কখনও মাজারের পাশে, কখনও মাজার মসজিদের বারান্দায় থেকেছি। রোববার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কিছু লোক আমাকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। আশ্রয়ের আশায় ষাটগম্বুজ মসজিদের সামনে যাই।’
তিনি বলেন, ‘সেখানে কিছু লোক আমাকে জলিল নামের একজনের বাসায় পাঠায়। সেখানে আকবর নামে এক ব্যক্তি কুপ্রস্তাব দিলে বিরক্ত হয়ে রাস্তায় চলে আসি। তখন রবিউল নামে এক অটোচালক আমাকে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলে অটোতে উঠিয়ে নির্জন ঘেরের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তিন জন মিলে আমাকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে আকুতি মিনতির পরে তারা আমাকে খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের নির্জন জায়গায় ছেড়ে দিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি কাকে কীভাবে বলব বুঝতে পারিনি। এক পর্যায়ে বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ আমাকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।’ ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অসহায় ওই নারী।
বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাদিয়া তাসনিম মুনমুন বলেন, ‘পুলিশ ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহ করেছি। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত।’
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।