ঢামেক প্রতিবেদক : রাজধানীর উত্তরার একটি পোশাক তৈরি কারখানায় সহকর্মীর মারধরের সজীব (১৭) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টর বটতলা এলাকায় এস এ ফ্যাশন নামে এক পোশাক তৈরি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সজীব ওই পোশাক কারখানায় হেলপার হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায়। তিনি পরিবারের সঙ্গে দক্ষিণখান মুন্সি মার্কেটে এলাকায় থাকতেন। তার বাবা শাহেদ আলী রিকশাচালক এবং মা সোলেমা বেগম অন্যের বাসায় কাজ করেন।
সজীবের মা সোলেমা বেগম জানান, সকালে গার্মেন্টস থেকে ফোন দিয়ে তাকে জানানো হয়, কারা যেন তার ছেলে সজীবকে মারধর করেছে। পরে তিনি কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে গিয়ে ছেলেকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠিয়ে দেয়। ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সজিবের সহকর্মী মো. সবুজ জানান, সকালে সজীব গার্মেন্টসে যাওয়ার পর মাহিম (২০) নামে তাদের এক সহকর্মী সজীবকে ডেকে কারখানার গেটের পাশে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে তাকে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে সজীব আচেতন হয়ে পড়লে মাহিম দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
তবে কী নিয়ে তাদের মধ্যে এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন তার সহকর্মীরা।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, দক্ষিণখান থানার ৪ নম্বর সেক্টর থেকে এক পোশাক শ্রমিককে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। স্বজন ও সহকর্মীরা অভিযোগ করেন মারধরের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি থানায় জানানো হয়েছে।