জেলা প্রতিনিধি, পঞ্চগড় : পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার তোড়িয়া ইউনিয়নের দ্বাড়খোর সীমান্ত এলাকার নাগর নদীর পাড় থেকে একটি মৃত চিতাবাঘ উদ্ধার করেছে পুলিশ। চিতাবাঘটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আটোয়ারী প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সীমান্তঘেষা নাগর নদী থেকে মৃত অবস্থায় চিতাবাঘটি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের ধারণা, সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বাঘটি। বিষ প্রয়োগ করা গরুর মাংস খেয়ে বাঘটির মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ওই এলাকার গৃহস্থ্য আকবর আলীর একটি গরু হিংস্র প্রাণীর আক্রমণে আহত হয়ে মারা যায়। গরুটির গলার দিকে ক্ষত ছিলো। গৃহস্থ্য মনে করেছিলেন শিয়াল আক্রমণ করে গরুটিকে মেরে ফেলেছে। তাই ক্ষুব্ধ হয়ে মৃত গরুর দেহে বিষ প্রয়োগ করে নদীর পাশে ফেলে রাখেন তিনি। উদ্দেশ্য ছিল আক্রমণকারী শিয়াল আবার আসবে এবং খেয়ে মারা যাবে।
স্থানীয়রা বলছেন, শিয়াল নয়; গরুটিকে চিতাবাঘটিই আক্রমণ করে থাকতে পারে এবং দ্বিতীয়বার এসে বিষ প্রয়োগ করা মৃত গরুটি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে দ্বাড়খোড় সীমান্তের নাগর নদীতে পানি খেতে গিয়ে নদীর পাড়ে পড়ে মারা যায় বাঘটি। বিষক্রিয়ায় বাঘটির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা তাদের।
আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেদুল হাসান বলেন, আমরা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা।
পঞ্চগড় সামাজিক বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মধুসুধন বর্মন বলেন, চিতাবাঘটি ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। আমরা বাঘটিকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। ময়নাতদন্ত শেষে বাঘটিকে বঙ্গবন্ধু সেতু আঞ্চলিক জাদুঘরে রাখার জন্য পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।