জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা মামলায় উপজেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভী কবির বিন্দু এবং কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ঝিনুক মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা পুলিশ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন।
এর আগে, গতকাল শুক্রবার রাতে নিহত শরিফুল ইসলাম সোহানের স্ত্রী রোজিনা পারভীন বাদী হয়ে সদর থানায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভী কবির চৌধুরী বিন্দু, কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগ সভাপতি ঝিনুক মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা সৌরভ ও স্বাধীনের নাম উল্লেখ করে এবং নাম না জানা ৭/৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
নিহত শরিফুল ইসলাম সোহান জেলা শহরের ঘোষপাড়ার হাটিরপাড় এলাকার মৃত আমজাদ হোসেন বুলুর ছেলে। তিনি কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও জেলা মোটর মালিক সমিতির সদস্য ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম সোহানকে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরপরই অভিযোগের ভিত্তিতে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভী কবির বিন্দু ও পলিটেকনিক ছাত্রলীগ সভাপতি ঝিনুক মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনান সঙ্গে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
এসময় অন্যদের মধ্যে কুড়িগ্রাম সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম ওহিদুন্নবী, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কুড়িগ্রামের খলিলগন্জ এলাকার অভিনন্দন কনভেনশন সেন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা জিপ গাড়িতে দ্রুত গতির একটি মোটরসাইকেল ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী দুই ছাত্রলীগ নেতা আহত হন। খবর পেয়ে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দলবল নিয়ে এসে জিপে থাকা শরিফুল ইসলাম সোহানকে মারধর করে আহত করেন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম সোহানকে মৃত ঘোষণা করেন।