আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের রাজধানী অভিমুখে ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। ফসলের নূন্যতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিতকরণসহ বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হয়ে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দিল্লিতে ঢোকার প্রস্তুতি নিচ্ছে ২০০টিরও সংগঠনের ২০ হাজার কৃষক।
ভারতের পুলিশ কৃষকদের রাজধানী অভিমুখে মিছিল করা থেকে বিরত রাখার জন্য প্রতিবেশী রাজ্য হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশের সাথে রাজধানী নয়াদিল্লির সংযোগকারী প্রধান সড়কগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। একই সঙ্গে আগামী ১২ মার্চ পর্যন্ত রাজধানীতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে কৃষকেরা পুলিশ ও প্রশাসনের যাবতীয় অবরোধ সরিয়ে দিয়ে দিল্লি সীমান্তে এসে প্রতিবাদ করেছিলেন। তাদের সেই প্রতিবাদ এক বছর স্থায়ী হয়েছিল। সেসময় কৃষকদের দাবি মেনে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয় মোদী সরকার। এবার তাই কৃষকদের দিল্লির সীমানায় আসতে দিতেই রাজি নয় সরকার।
দিল্লিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। যাবতীয় প্রতিবাদ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কৃষকরা যেন দিল্লিতে ঢুকতে না পারে সেজন্য দিল্লির সীমান্তবর্তী বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড করে রেখেছে দিল্লি পুলিশ। সিজ্ৰু, গাজীপুর, টিকরি সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তারক্ষী মোতায়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি বাস স্ট্যান্ড, মেট্রো স্টেশন ও রেল স্টেশনে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীরা যাতে অন্য জেলা থেকে হরিয়ানায় ঢুকতে না পারে, সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে রাজ্য সরকার। হরিয়ানা সরকার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। কৃষক অভিযানকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অশান্তি না ছড়িয়ে পড়ে, সেজন্য কুরুক্ষেত্র, কইথাল, জিন্দ, হিসার, সিরসা জেলায় মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মোবাইলের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হরিয়ানা। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ সীমান্তে কৃষকরা যাতে জমায়েত করতে না পারে, সেজন্য কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
পাঞ্জাব কিষান মজদুর সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক সারভান সিং সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করব। আমাদের উদ্দেশ্য হলো, সরকার যেন আমাদের দাবি শোনেন।’
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, কৃষকদের দাবি নিয়ে আলোচনা করতে কৃষি, স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অন্তত তিনজন জুনিয়র মন্ত্রী আজ সোমবার কৃষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।