আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে আবারও কৃষকদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার কেন্দ্রের কাছে নিজেদের দাবিদাওয়ার কথা পৌঁছে দিতে ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি পালনকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার থেকে উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা— মূলত এই তিন রাজ্যের প্রায় ৩৫০টি ছোট-বড় কৃষক সংগঠন উৎপাদিত শস্যের দাম বৃদ্ধির দাবিতে এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে। তাদের এই কর্মসূচি নিয়ে সারাদিনই সরগরম ছিল হরিয়ানা সীমানা।
পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার মধ্যবর্তী শম্ভু সীমানায় প্রতিবাদী কৃষকদের ঠেকাতে বুধবার ড্রোন দিয়ে কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোড়ে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় পুলিশ এবং প্রতিবাদী কৃষকদের মধ্যে। আন্দোলনকারীদের প্রবেশে বাধা দিতে দিল্লির সিঙ্ঘু সীমানার কাছের একটি গ্রামে রাস্তাও খুঁড়ে দিয়েছে প্রশাসন।
এর আগে দুপুরে কয়েকশো ট্র্যাক্টর নিয়ে শম্ভু সীমানায় জমায়েত হন কৃষকরা। তাদের আটকাতে মোতায়েন করা হয় ১০০ কোম্পানি বাহিনী। পাশাপাশি, ড্রোন দিয়ে আন্দোলনকারীদের গতিবিধির উপর নজর রাখতে শুরু করে পুলিশ।
পাঞ্জাবের খন্না থেকে আসা কৃষক অমনদীপ কৌর বলেন, ‘আমরা ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্যের আইনি নিশ্চয়তা, লখিমপুর-খেরিতে মৃত্যু হওয়া ভাইদের ক্ষতিপূরণ এবং ঋণ মওকুফের দাবিতে পথে নেমেছি। কৃষকদের পেনশন পাওয়া উচিত। আমরা আমাদের অধিকারের জন্য এসেছি।’
মঙ্গলবার কৃষকদের রুখতে পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানা এবং দিল্লিতে প্রবেশের সব প্রবেশপথে ব্যারিকেড, কাঁটা দেওয়া তার জড়িয়ে কার্যত দুর্গের চেহারা দেওয়া হয়। এরমধ্যেই প্রতিবাদী কৃষকরা পাঞ্জাব ও হরিয়ানার মধ্যবর্তী শম্ভু সীমানায় পৌঁছনোর পর কাঁদানে গ্যাসের সেল ব্যবহার করে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী। রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় পুলিশ ও প্রতিবাদী কৃষকদের মধ্যে।
২০২১ সালের নভেম্বরে কৃষকরা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিল। ওই সময়ও তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল।