কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ২০১৬ সালে পূর্বশত্রুতার জেরে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনকে হত্যার দায়ে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোছা. মরিয়ম মুন মুঞ্জুরী এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত ১৮ জনের মধ্যে যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আটজন কাঠগড়ায় উপস্থিত থাকলেও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১০ জনই পলাতক ছিলেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. মোবারক হোসেন এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মনোহরগঞ্জের দক্ষিণ বাতাবাড়িয়া গ্রামের তাজুল ইসলামের তিন ছেলে মো. রিয়াদ হোসেন (২৯), মীর হোসেন (৩৭) ও আনোয়ার হোসেন (৪১), সামছুল হক পাটোয়ারীর দুই ছেলে মো. ইউসুফ (৩৬) ও মো. ইসমাইল হোসেন (৩৫), ছালেহ আহম্মদের ছেলে মিসু (২২), শহীদ উল্লাহ মেম্বারের ছেলে মো. রাজন, তাজুল ইসলামের ছেলে মানিক মিয়া এবং আবুল হোসেনের ছেলে মো. মিজানুর রহমান।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, একই এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে নোমান (২৩), সিরাজুল ইসলামের ছেলে সালাহ উদ্দিন (৪১), আবদুস সামাদের ছেলে আবুল কাশেম ওরফে পিচ্চি কাশেম (৪২), আলী আকবরের ছেলে মো. শহীদউল্লা মেম্বার (৫৫), নূর আহম্মদের দুই ছেলে মো. সালেহ আহম্মদ (৩২) ও মো. সোহাগ (২৬), মৃত সফিকুর রহমানের ছেলে মো. স্বপন (৩৫), মৃত সুলতান আহম্মদের ছেলে মো. রাশেদ এবং মৃত মন্তাজুর রহমানের ছেলে মো. টিপু (৩৫)।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৩ মে সকাল ৯টার দিকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে মনোহরগঞ্জ দক্ষিণ বাতাবাড়িয়ার যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে হামলা চালান প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় তারা চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল দিয়ে জাহাঙ্গীরকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহত জাহাঙ্গীর আলমের ভাই মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মনোহরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০১৭ সালের ৮ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনোহরগঞ্জ থানার সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাছির উদ্দিন আসামিদের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. মোবারক হোসেন।