নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের বন্দরে তুচ্ছ ঘটনায় দিপালী রানী (৪০) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় দিপালী রানীর স্বামী শ্যামাচন্দ্র দাসকেও (৫০) কুপিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে বন্দর উপজেলার লেজার্স আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দিপালী রানী বন্দর লেজার্স আবাসিক এলাকায় তার স্বামী শ্যামাচন্দ্র দাস ও ২ মেয়েকে নিয়ে কাউসারের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন।
নিহতের মেয়ে বিপাশা বলেন, আমরা চার বোন। দুই বোনের বিয়ে হওয়ার পর বাকি দুই বোন বাবা মায়ের সাথে বন্দরের লেজার্স ৪নং গলির কাউসার মিয়ার বাড়িতে বাড়া থাকি। বাড়ির মালিক এখানে থাকেন না।বাড়িটির কেয়ারটেকার হিসেবে ফরিদ মিয়া দেখাশোনা করে। প্রায় সময় কেয়ারটেকারের স্ত্রী ফরিদা বেগম আমার মায়ের সাথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া করে। গত ৩ দিন যাবত চুলায় রান্না নিয়ে আমার মা দিপালী রানীর সাথে কেযারটেকারের স্ত্রীর সাথে ঝগড়া চলছিলো। বৃহস্পতিবার রাতে একটি বিযের অনুষ্ঠানে আমরা দুই বোন চলে যাওয়ায় আমার মা দিপালী রানী ও বাবা শ্যামাচন্দ্র দাস ঘরে ঘুমিয়েছিলো। শুক্রবার ভোরে আমাদের বাসায় প্রতিবেশিরা ঘরের দরজা খোলা অবস্থায় দেখেন এসময় আমার আহত বাবার কান্নার শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা ঘরে গিয়ে আমার মায়ের লাশ দেখতে পায়। পরে আমরা খবর পেয়ে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত অবস্থায় আমার বাবাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। ঘটনার পর থেকেই কেয়ারটেকার ফরিদ পলাতক রয়েছে।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোস্তফা কামাল জানান, শুক্রবার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত দিপালী রানীর লাশ উদ্ধার করেছে। তার স্বামী শ্যামাচন্দ্রকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফরিদা বেগম ও তার ছেলে সিয়ামকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।