নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলের কালিয়া উপজেলার তালবাড়িয়া গ্রামে এক শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় নিলয় মোল্যা (১৫) নামের মাদরাসা ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার (১ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওয়াজ শুনে বাড়ি ফেরার সময় ১০/১৫ জন তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় তামিম শেখ নামের অপর একজন গুরুতর আহত হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিলয় মোল্যা ও তামিমসহ এলাকার কয়েকজন ছাত্র তালবাড়িয়া গ্রামে ওয়াজ শুনতে যায়। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার সময় ১০/১৫ জনের একটি দল তাদের পথ আটকায়। এসময় তারা নিলয় ও তামিমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিলয় মোল্যাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহত তামিম বলেন, ১৫ দিন আগে তাদের গ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পডুয়া এক শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করে শাকিল খান নামে ব্রাহ্মণপাটনা গ্রামের এক যুবক। ওই ঘটনার প্রতিবাদ করে নিলয় মোল্যা। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শাকিলকে চড় দেন নিলয় মোল্যা। পরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাটি মিমাংসা করে দেন। ওই ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতে ওয়াজ মাহফিল শুনে বাড়ি ফেরার পথে শাকিল খান আমাকে ও নিলয়কে ডেকে নিয়ে রামদা ও ছেন দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। আমরা বাঁচার জন্য চিৎকার করলে ওয়াজ মাহফিলের লোকজন এসে আমাদের উদ্ধার করে।
খাশিয়াল ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য রাজ্জাক খন্দকার বলেন, তারা মাহফিল থেকে ফেরার পথে জানতে পারেন, ব্রাহ্মণপাটনা গ্রামের কামরুল খানের ছেলে শাকিল খানের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন যুবক দুটি ছেলেকে কুপিয়ে পালিয়েছে। পরে আহতদের উদ্ধার করে কালিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে ডাক্তার নিলয় মোল্যা কে মৃত ঘোষণা করে।
কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পার্থ প্রতিম বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই ছেলের মৃত্যু হয়েছে। তামিম শেখকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিলয় মোল্যার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার সকালে নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।