আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানীয় বিমান সংস্থা সাফারিলিংকের একটি বিমান এবং ৯৯ ফ্লাইং ট্রেনিং স্কুলের একটি বিমানের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে এ দুর্ঘটনায় আরো ৪৪ জন রক্ষা পেয়েছে এবং তারা অক্ষত আছে।
দুর্ঘটনায় জড়িত দুই বিমানের মধ্যে সাফারিলিংকের মালিকানাধীন একটি ড্যাশ ৮ বিমানটি ৪৪ জন যাত্রী ও ক্রুকে নিয়ে উপকূলীয় ডায়ানির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। সেসময় অন্য একটি সেসনা বিমান দুজনকে নিয়ে প্রশিক্ষণ ফ্লাইটে ছিল।
সেসনা বিমানটি পার্কে বিধ্বস্ত হয় এবং ড্যাশ ৮ নিরাপদে উইলসন বিমানবন্দরে ফিরে যায়। দুটি বিমানই উইলসন বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেছিল।
নাইরোবির পুলিশ সদস্য অ্যাডামসন বুঙ্গেই এএফপিকে এক টেক্সট বার্তার মাধ্যমে সেসনা বিমানে পাইলট হিসেবে প্রশিক্ষণে থাকা শিক্ষার্থী এবং তার প্রশিক্ষকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে ওই দুর্ঘটনা সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
সাফারিলিংক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের ওই বিমানটিতে ৪৪ জন আরোহী ছিল। এটি ডায়ানির উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। তবে উড্ডয়নের পর বিমানটি একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়।
এতে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনায় বিমানের যাত্রী এবং ক্র সদস্যদের কোনো ক্ষতি হয়নি। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে ওই দুর্ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে এবং সাফারিলিংক এভিয়েশন তদন্ত কার্যক্রমে অংশ নেবে।
অপরদিকে ৯৯ ফ্লাইং স্কুলও ওই দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। এদিকে কেনিয়া সিভিল এভিয়েশন অথরিটি জানিয়েছে, তারা দুর্ঘটনার কারণ জানতে ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে।
দেশটির একজন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞের মতে, বিমান দুটির পাইলটরা হয়তো এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের নির্দেশনা উপেক্ষো করেছিলেন, নয়তো সঠিক সময়ে তারা নির্দেশনা পাননি।