ক্রীড়া ডেস্ক : সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে টাইব্রেকারে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। বয়সভিত্তিক এই টুর্নামেন্টে এটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় শিরোপা। এর আগে ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশের কিশোরীরা। ২০২৩ সালে লিগ পদ্ধতিতে হওয়া টুর্নামেন্টে রাশিয়ার পেছনে থেকে হয়েছিল রানার্স-আপ। এবার অবশ্য অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
আজ রোববার (১০ মার্চ) নেপালের ললিতপুরের আনফা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত ফাইনালে নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলের সমতা নিয়ে শেষ হয়েছিল। এরপর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে প্রথমে শট নেয় বাংলাদেশ এবং প্রথম শটই মিস করেন সুরভী আকন্দ প্রীতি। অন্যদিকে ভারত তাদের প্রথম শটে গোল করে। তাতে পিছিয়ে পড়ে বংলাদেশ।
এরপর ভারতের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শট রুখে দিয়ে বাংলাদেশের জয়ের নাক হয়ে ওঠেন গোলরক্ষক ইয়ারজান বেগম। এরপর বাংলাদেশের মারিয়াম ও থুইনি মারমা দ্বিতীয় ও তৃতীয় শটে গোল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন ২-১ ব্যবধানে। কিন্তু চতুর্থ শটে পোস্টে মেরে মিস করেন বাংলাদেশের আলপি। অন্যদিকে অবশ্য ভারত তাদের চতুর্থ শটে গোল করে এবং স্কোরলাইনে আবার সমতা ফেরে।
বাংলাদেশের পঞ্চম শটে সাথী মুন্ডা গোল করে এগিয়ে নেন ৩-২ ব্যবধানে। আর ভারতের নেওয়া পঞ্চম শট বাংলাদেশের গোলরক্ষক ইয়ারজান রুখে দিলে টাইব্রেকারে ৩-২ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।
ফাইনালে এদিন অবশ্য ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় ভারতের মেয়েরা। এ সময় মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের বাড়িয়ে দেওয়া বল নিয়ন্ত্রণে নেন আনুশকা কুমারী। তার সামনে ছিলেন কেবল বাংলাদেশের গোলরক্ষক। তাকে পরাস্ত করে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠান আনুশকা। এটা ছিল এবারের আসরে তার পঞ্চম গোল। তার গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ভারত।
বিরতির পর ৭০ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরায় বাংলাদেশ। এ সময় কর্নার পায় সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। কর্নার থেকে থুইনুই মারমার বাড়িয়ে দেওয়া বলে পা লাগিয়ে জালে জড়ান মরিয়ম। তাতে ম্যাচে ফেরে সমতা।
এই সমতা নিয়ে শেষ হয় নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা। তাতে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকার নামক ভাগ্য পরীক্ষায়। সেখানে উতরে যায় বাংলাদেশ। ভারতের কিশোরীদের কাঁদিয়ে শোকেসে তোলে বয়সভিত্তিক সাফের দ্বিতীয় শিরোপা।