নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের নলডাঙ্গায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলার অপর আসামির বয়স কম হওয়ায় তাকে ১০ বছরের আটকাদেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (বিশেষ পিপি) আনিসুর রহমান।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নলডাঙ্গা উপজেলার মোমিনপুর উত্তরপাড়া গ্রামের সলেমান মণ্ডলের ছেলে মো. মিঠুন মণ্ডল ও একই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মো. আশরাফুল ইসলাম। আটকাদেশপ্রাপ্তের নাম সাব্বির হোসেন। রায়ে মিঠুনকে ৫০ হাজার টাকা ও আশরাফুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভিকটিমকে দেয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।
বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানান, ২০২১ সালের ৩১ মে সকালে মামাত বোন ও দুই প্রতিবেশীর সঙ্গে ছাগল নিয়ে মাঠে যায় সপ্তম শ্রেণির ওই কিশোরী। দুপুরের দিকে সেখানে হাজির হন মিঠুন, আশরাফুল ও সাব্বির। কথা আছে বলে ওই কিশোরীকে ডেকে আখ ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে যায় তারা। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে মিঠুন। আর আশরাফুল ও সাব্বির এ কাজে তাকে সহায়তা করে। ধর্ষণের সময় মেয়েটি চিৎকার দিলে তার সঙ্গীরা ও স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসে। এ সময় সাব্বির পালিয়ে গেলেও স্থানীয় লোকজনের হাতে ধরা পড়েন মিঠুন ও আশরাফুল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে ওই তিনজনকে অভিযুক্ত করে ১ জুন নলডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নলডাঙ্গা থানার সেই সময়ের এসআই মোশারফ হোসেন তদন্ত শেষ করে ওই তিনজনকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ২৬ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষপ্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক এ রায় দেন।