নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের আরো দুটি তৈরি পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো: গাজীপুরের টঙ্গীর উইন্ডি অ্যাপারেলস লিমিটেড এবং টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কমফিট বানানা লিফ। এ নিয়ে দেশে মোট পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা দাঁড়ালো ২১৩টিতে। পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যার ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
শনিবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কারখানা দুটি যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে সনদ পেয়েছে। সনদ পাওয়ার ৯টি শর্ত পরিপালনে মোট ১১০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০–এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ এবং ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়। ১১০ নম্বরের মধ্যে উইন্ডি অ্যাপারেলস পেয়েছে ৬৯ নম্বর এবং কমফিট বানানা লিফ ৭৩ নম্বর পেয়ে ‘লিড গোল্ড’ সনদ পেয়েছে।
বিজিএমইএ তথ্য অনুযায়ী, তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে বর্তমানে লিড সনদ পাওয়া পরিবেশবান্ধব কারখানা বেড়ে হয়েছে ২১৩। তার মধ্যে ৮০টিই লিড প্লাটিনাম সনদধারী। এছাড়া, ১১৯টি গোল্ড, ১০টি সিলভার ও ৪টি কারখানা সার্টিফায়েড সনদ পেয়েছে।
বাংলাদেশে বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি সর্বোচ্চ রেটেড লিড গ্রিন কারখানা রয়েছে। শুধু তাই নয়, সেরা ১০টি কারখানার মধ্যে ৯টি এবং শীর্ষ ২০টি সর্বোচ্চ রেটেড লিড গ্রিন কারখানার মধ্যে ১৮টি বাংলাদেশে অবস্থিত।
এ দুটি নিয়ে দেশে মোট পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা দাঁড়াল ২১৩টি; এর মধ্যে প্লাটিনাম ক্যাটাগরির কারখানা ৮০টি আর গোল্ড ক্যাটাগরির কারখানা ১১৯টি; সিলভার ক্যাটাগরিতে আছে ১০টি ও সার্টিফায়েড ক্যাটাগরিতে আছে ৪টি কারখানা।
উইন্ডি অ্যাপারেলস ১১০-এর মধ্যে ৬৯ পেয়ে গোল্ড সনদ পেয়েছে। টেকসই অবস্থান ক্যাটাগরিতে তারা পেয়েছে ১০-এ ১০; পানির দক্ষ ব্যবহারে পেয়েছে ১১-তে ৮; জ্বালানি ও পরিবেশে ৫৩-এর মধ্যে পেয়েছে ২৪; উপাদান ও সম্পদে পেয়েছে ১৩-তে ৫; অভ্যন্তরীণ পরিবেশ মানে পেয়েছে ১৬-তে ২; উদ্ভাবনে ৬-এ ৬; আঞ্চলিক অগ্রাধিকার ক্রেডিটে পেয়েছে ৪-এ ৪; অবস্থান ও যোগাযোগে পেয়েছে ২০-এ ৯; ইন্টিগ্রেটিভ প্রসেস ক্রেডিটসে পেয়েছে ১-এ ১। সব মিলিয়ে ১১০-এ ৬৯।
কমফিট বাংলাদেশ ১১০ নম্বরের মধ্যে ৭৩ পেয়ে গোল্ড সনদ পেয়েছে; তারা কারখানার টেকসই অবস্থান ক্যাটাগরিতে পেয়েছে ১০-এ ১০; পানির দক্ষ ব্যবস্থায় পেয়েছে ১১-তে ১০; জ্বালানি ও পরিবেশে পেয়েছে ৫৩-তে ১৫; উপকরণ ও সম্পদে পেয়েছে ১৩-তে ৪; অভ্যন্তরীণ পরিবেশগত মানে পেয়েছে ১৬-তে ৯; উদ্ভাবনে পেয়েছে ৬-এ ৬; আঞ্চলিক অগ্রাধিকার ক্রেডিটে পেয়েছে ৪-এ ৪; অবস্থান ও পরিবহনে পেয়েছে ২০-এ ১৪; ইন্টিগ্রেটিভ প্রসেস ক্রেডিটসে ১-এ ১। সব মিলিয়ে ১১০ নম্বরের মধ্যে ৭৩।