ঝালকাঠি প্রতিনিধি : রমজানের ষষ্ঠ দিনে ঝালকাঠির মানুষ বিপাকে পড়েছেন মুরগি নিয়ে। শহরের বাজারে হঠাৎ করেই পাওয়া যাচ্ছে না মুরগি। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মুরগির দাম নির্ধারণ করে দেওয়ায় এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
রোববার বিক্রেতারা জানান, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বেঁধে দেওয়া দামের কারণে ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালী মুরগি পাইকারি বিক্রি করছেন না খামারের মালিকরা। তাই বাজারের দোকানগুলোতে মুরগি পাওয়া যাচ্ছে না। পাইকারি যে দামে মুরগি কেনা হয়, প্রশাসন তার চেয়েও কম দামে বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বেঁধে দেওয়া দামে মুরগি বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে বলেও জানান বিক্রেতারা। তাই আপাতত মুরগী বিক্রি বন্ধ রেখেছেন তারা।
মুরগির খামারিরা জানান, মুরগির খাবার ও ওষুধের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। এদিকে শ্রমিকের মজুরিও বেড়েছে। তাই কম দামে মুরগি বিক্রি করলে লোকসান গুণতে হবে।
মুরগি বিক্রেতা বাবুল হোসেন বলেন, ‘সকালে খামারে মুরগি কিনতে গেলে ব্রয়লার পাইকারি ১৯৫, লেয়ার ২৯০ ও সোনালী ২৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রির কথা বলেছে মালিকরা। কিন্তু বাজারে সরকার নির্ধারণ করেছে কম দামে, তাই মুরগি বিক্রি বন্ধ রেখেছি।’
ঝালকাঠি শহরের লঞ্চঘাট এলাকার খায়রুল আলম বলেন, ‘রমজানে অল্পদামে মাংস বলতে আমরা ব্রয়লার মুরগি বুঝি। কিন্তু আজকে বাজারে গিয়ে কোনো মুরগিই পাইনি। হঠাৎ করে মুরগি উধাও হয়ে গেছে। খালি হাতেই বাসায় ফিরতে হয়েছে।’
ঝালকাঠির কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মাঠ ও বাজার পরিদর্শক আব্দুল মতিন বলেন, ‘মুরগিসহ ২৯টি কৃষি পণ্যের দাম ভোক্তা পর্যায়ে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে বেশি দামে বিক্রি করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’