আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী প্রথমবারের মতো প্রশান্ত মহাসাগরে একটি হাইপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, ওয়াশিংটন এখনও অস্ত্রের ক্ষেত্রটিতে প্রতিযোগিতা করে এর মাধ্যমে চীনকে সেই বার্তা দিলো যুক্তরাষ্ট্র।
বিমান বাহিনীর মুখপাত্র সিএনএনকে দেওয়া এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘১৭ মার্চ গুয়াম দ্বীপে অ্যান্ডারসেন এয়ার ফোর্স বেস থেকে উড়ে আসা একটি বি-৫২ বোমারু বিমান ‘একটি সম্পূর্ণ প্রোটোটাইপ অপারেশনাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।’
হাইপারসনিক অস্ত্রের পরীক্ষাটি মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের কোয়াজালিন অ্যাটলের রিগান টেস্ট সাইটে পরিচালিত হয়েছিল। ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি রকেট বুস্টার মোটর এবং হাইপারসনিক গ্লাইড যান নিয়ে গঠিত। এতে একটি প্রচলিত ওয়ারহেড থাকে।
হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ঘণ্টায় প্রায় চার হাজার মাইল গতিতে উড়তে সক্ষম। উচ্চগতির কারণে রাডারে কিংবা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় এই ক্ষেপণাস্ত্র সময়মতো শনাক্ত ও আটকানো কঠিন। বর্তমান ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এড়াতে এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র কৌশল চালাতে পারে এবং উচ্চতা পরিবর্তন করতে পারে।
মার্কিন কর্মকর্তারা আগেই স্বীকার করেছেন যে হাইপারসনিকের উন্নয়নে চীন ও রাশিয়া এগিয়েছে।
চীন ২০১৪ সাল থেকে হাইপারসনিক গ্লাইড যানের পরীক্ষা করছে যা পারমাণবিক এবং প্রচলিত উভয় ওয়ারহেড বহন করতে পারে। রাশিয়া চলতি বছরের শুরুতে ইউক্রেনে জিরকন হাইপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল।