চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে একটি সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ তুলে কাজে বাধা দিয়েছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দিন আহম্মেদ মন্টু সেতু নির্মাণ কাজে বাধা দেন তারা। ফলে বন্ধ রয়েছে সেতুটির নির্মাণ কাজ। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ মানতে নারাজ জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগ।
প্রতিষ্ঠানটির সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৪ অক্টোবর শিবগঞ্জ-মনাকষা সড়কে পাগলা নদীর উপর বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দিন আহম্মেদ মন্টু সেতুর নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তুর উদ্বোধন করা হয়। ১৭২ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। নির্মাণাধীন এই সেতু ২০২৭ সালের জুলাই মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা।
সাড়ে ২৭ কোটি টাকার এই সেতুটি নির্মাণ হলে কয়েকটি ইউনিয়নের আড়াই লাখ মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবে। বহুল প্রত্যাশিত এই সেতুর নির্মাণ কাজে অনিয়ম পেয়েছেন স্থানীয়রা। তাই তারা সেতুটির নির্মাণ কাজে বাধা দিয়েছেন। ঘটনাস্থলে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গেলেও স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়েন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন পর নির্মাণ কাজ শুরু হয় এই সেতুর। সেতুটি নির্মাণে ৮০ ফুট গভীরে পাইলিং দেওয়ার কথা থাকলেও তা করছেন না মিস্ত্রিরা। সেতুর পিলারগুলোয় ২৫ মিলি মিটার রডের পরিবর্তে ২০ মিলি মিটার রড দিয়ে পাইলিং করা হচ্ছে।
এছাড়াও দিনের বেলায় কেউই কাজ করে না; রাতের অন্ধকারে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে দাবি তাদের।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল লতিফ বলেন, সেতুটি নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে। মানুষ যাতে দেখতে না পায় সেজন্য গভীর রাতে সব কাজ করা হচ্ছে। ৮০ ফুট গভীরে পাইলিং দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে ৪০ ফুট। এজন্যই আমরা সেতু নির্মাণে বাধা দিয়েছি।
জিন্নাত আলী নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, সেতু নির্মাণে বালু-সিমেন্ট সঠিক নিয়মে ব্যবহার করা হচ্ছে না। নিম্নমানের বালু-সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোজাহার আলী প্রাং বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি সেখানে স্থানীয়দের কেউই ছিল না। মূলত মাটির নিচে সমস্যা হওয়ার কারণে পাইলিং রডগুলো যথাযথভাবে দেওয়া যায়নি। আমরা জায়গা বদল করে অন্য জায়গায় পাইলিং করবো।
স্থানীয়দের অভিযোগগুলো কর্ণপাত না করে তিনি আরও বলেন, পাইলিং নিয়ে সমস্যা হয়েছে তাই আপাতত কাজ বন্ধ রয়েছে।