আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ-পশ্চিম লিবিয়ার একটি গণকবরে অন্তত ৬৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে। খবর আল জাজিরার।
শুক্রবার একটি বিবৃতিতে আইওএম বলেছে, ঠিক কোন পরিস্থিতিতে এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে এবং তাদের জাতীয়তা কী তা এখনও জানা যায়নি। তবে তাদের বিশ্বাস, মরুভূমির মধ্য দিয়ে ভূমধ্যসাগরের দিকে পাচার হওয়ার সময় এসব অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের গণকবর আবিষ্কারের ঘটনায় তারা ‘গভীরভাবে হতবাক’ হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
আইওএম লিবিয়া কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য জাতিসংঘ সংস্থাগুলোকে লাশ উদ্ধার করা, পরিচয় বের করা এবং দেহাবষেশ পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
আইওএম এর মুখপাত্র বলেছেন, প্রতিটি নিখোঁজ এবং প্রাণহানির ঘটনাতেই শোকার্ত স্বজনরা তাদের প্রিয়জনের খোঁজ করে। তাদের বিষয়ে জানতে চায় কিংবা ক্ষতি স্বীকার করে নেয়।
তিনি আরও বলেছেন, ‘ক্রমবর্ধমান এই মৃত্যু এবং অভিবাসনপ্রত্যাশীরা যে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যে পড়ছেন তাতে এটা স্পষ্ট যে, এটি অপর্যাপ্ত পদক্ষেপের কারণেই হচ্ছে।’
লিবিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) জানিয়েছে, ত্রিপোলি থেকে প্রায় ৪২১ কিলোমিটার (২৬২ মাইল) দক্ষিণে আল-শুওয়াইরফ শহরের আল-জাহরিয়া উপত্যকায় মৃতদেহগুলো পাওয়া গেছে।
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে মানবপাচারকারীদের বহুল ব্যবহৃত একটি পথ হলো লিবিয়া। চলতি মাসের শুরুর দিকেই লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়া একটি রাবারের নৌকা ডুবে অন্তত ৬০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী নিহত হয়েছিলেন। গত বছর সারা বিশ্বে অন্তত ৮,৫৬৫ জন নিহত হয়েছেন অবৈধ উপায়ে অভিবাসন করতে গিয়ে, জানিয়েছে আইওএম।
সংস্থাটি বলেছে, সর্বশেষ এই ট্র্যাজেডিটি মানবপাচার এবং বৈধ অভিবাসন জন্য সমন্বিত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।