শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়ী এবং পরাজিত চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার সখিপুর থানার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ মাথাভাঙা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাঁচিকাটা ইউনিয়নটিতে গত ৯ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪ জন। নির্বাচনে চশমা প্রতীকের প্রার্থী এইচ এম কামরুল ইসলামকে মাত্র ৬৭ ভোটে হারিয়ে চেয়ারম্যান হন আনারস প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আমিন দেওয়ান। এরপর থেকে আধিপত্য বিস্তারে একসঙ্গে জোট বাঁধেন পরাজিত তিন প্রার্থী। তারা হলেন- এইচ এম কামরুল ইসলাম, ফজলুল হক কাওসার মোল্লা ও আব্দুল হাই।
গত সোমবার পদ্মা নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এইচ এম কামরুল ইসলামের সমর্থক কাকন হাওলাদার, ইউপি সদস্য আহমেদ আলী মৃধা, রিপন বেপারী ও রফিক মৃধাসহ কয়েজন হামলা চালান বিজয়ী চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দেওয়ানের সমর্থক নজির খার বাড়িতে। এরপর থেকে দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। আজ বুধবার সকাল থেকে দুই পক্ষের লোকজন বিভিন্ন ধরনের দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে আল আমিন দেওয়ান, নজরুল খান, সোনা মিয়া দেওয়ানসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে চাঁদপুর, মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দেওয়ান অভিযোগ করে বলেন, পরাজয় মেনে নিতে না পেরে পরাজিত প্রার্থীর লোকজন কয়েকদিন ধরে মারামারির প্রস্তুতি নিয়েছে। ওরা আমার সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে। লোকজনকে তারা আহত করেছে।
পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এইচ এম কামরুল ইসলাম বলেন, কারা সংঘর্ষে জড়িয়েছে আমি জানি না। কী নিয়ে মারামারি তাও বলতে পারছি না।
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পরাজিত ও বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ২০ থেকে ৩০ জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।