1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১২ অপরাহ্ন
হেডলাইন :
বিমানের ওয়েব টিকেটিংয়ে নতুন পেমেন্ট গেটওয়ে হিসেবে যুক্ত হলো ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বরিশাল অঞ্চলের বিজনেস রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেল ইসলামী ব্যাংক রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেল জনতা ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংকের আঞ্চলিক ব্যবসায়িক সম্মেলন  অনুষ্ঠিত অবকাঠামো উন্নয়নে এডিবির সঙ্গে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণচুক্তি ছয় মাসের মধ্যে পুরনো গাড়ি অপসারণ: উপদেষ্টা রিজওয়ানা বাজার নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সরকার: প্রেস সচিব মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন চার দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আগামী জুনে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামতে পারে: গভর্নর

‘স্বাস্থ্যসেবায় পাঁচ বছরে ব্যয় বেড়েছে তিন গুণ’

  • আপডেট সময় : বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০২৪
  • ২০০ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে তিন গুণ বেড়েছে। পাঁচ বছরের ব্যবধানে মাথাপিছু মাসিক স্বাস্থ্য ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭০৪ টাকায়।

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এবং যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট পরিচালিত এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। বুধবার (২৭ মার্চ) সানেমের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের তুলনায় গড় মাথাপিছু স্বাস্থ্য ব্যয় ২০২৩ সালে তিন গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে মাসিক ১ হাজার ৭০৪ টাকায়। তবে, এ বর্ধিত স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় সব আয়ের মানুষের মধ্যে সমান নয়। দরিদ্রতম ২০ শতাংশ পরিবারের জন্য এই বৃদ্ধি মাত্র দ্বিগুণ ছিল, যেখানে সবচেয়ে ধনী ২০ শতাংশ পরিবারের জন্য বৃদ্ধি ছয় গুণ।

সানেম মনে করছে, স্বাস্থ্য ব্যয় বাড়ার ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস মহামারির গুরুতর প্রভাব থাকতে পারে।

সানেমের গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনা মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রধান সাফল্য ছিল যথাসময়ে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা। বাংলাদেশে ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া শুরু হয়। এ সময় ৭৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ শতাংশ নারী ভ্যাকসিনের দুটির বেশি ডোজ পেয়েছেন।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের উৎপাদিত ওষুধের দাম ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে, যা স্বাস্থ্যসেবা ব্যয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। করোনা মহামারি ও তার পরবর্তী সময়ে দেশের উৎপাদনমুখী বিভিন্ন খাত মুনাফা সংকটে ভুগলেও ওষুধ কোম্পানিগুলো তাদের ভালো প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে।

ওষুধ খাতের কোম্পানিগুলোর মুনাফার প্রবৃদ্ধি গড়ে ১৫ শতাংশের বেশি, যা বাংলাদেশের অন্য যেকোনো খাতের তুলনায় আকর্ষণীয়। ওষুধের দাম বাড়ায় অনেক কোম্পানির মুনাফা বাড়লেও সামর্থ্যহীন মানুষজন ওষুধ খাওয়া কমিয়েছেন।

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র্যের হার কমেছে। একই সময়ে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে শহরাঞ্চলে। ২০১৮ সালে গ্রামীণ দারিদ্র্যের হার ২৪ দশমিক ৫ থেকে ২০২৩ সালে ২১ দশমিক ৬ শতাংশে নামলেও শহুরে দারিদ্র্যের হার ১৬ দশমিক ৩ থেকে বেড়ে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

জরিপে দেখা যায়, উচ্চ দারিদ্র্যসীমা অনুযায়ী, জাতীয় পর্যায়ে দারিদ্র্যের হার ২০ দশমিক ৭ শতাংশ, গ্রামীণ এলাকায় ২১ দশমিক ৬ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। নিম্ন দারিদ্র্যসীমা অনুযায়ী, জাতীয় পর্যায়ে চরম দারিদ্র্যের হার পরিমাপ করা হয়েছে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ, গ্রামীণ এলাকায় ৮ দশমিক ৯ শতাংশ ও শহরাঞ্চলে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। এর মধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ দারিদ্র্যের হার পরিমাপ করা হয়েছে রংপুর ও বরিশালে। রংপুরে এ হার ৪২ দশমিক ৯ শতাংশ এবং বরিশালে ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ।

বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের সূচকেও একই ধরনের প্রবণতা দেখা যায়। গ্রামীণ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের হার ৩০ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ২৭ দশমিক ৬ শতাংশে। অন্যদিকে, শহরাঞ্চলে তা ২০১৮ সালে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ শতাংশে।

গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সরকার প্রদত্ত সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় এসেছে ৩৭ শতাংশ দরিদ্র জনগোষ্ঠী। এর মধ্যে টিসিবি ফ্যামিলি কার্ড সেবা সর্বোচ্চ সংখ্যক তথা ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ পরিবারের কাছে পৌঁছেছে। এছাড়া, বার্ধক্য ভাতা ৮ দশমিক ৯ শতাংশ; বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা ও দুস্থ মহিলা ভাতা ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ, আর্থিকভাবে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা ৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ভাতা ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছেছে। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই অর্থাৎ ৪৭ শতাংশ সেবা খাতে নিযুক্ত। ৩৬ কৃষি ও ১৮ শতাংশ শিল্প খাতে কর্মরত। জাতীয় পর্যায়ে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। গ্রামীণ এলাকায় এ হার ৩ দশমিক ৬ ও শহরাঞ্চলে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ