নিজস্ব প্রতিবেদক : ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কার্ডধারী স্বল্প আয়ের ১ কোটি পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির জন্য ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি লিটার তেলের দাম ১৫২.৯৮ টাকা হিসেবে এতে মোট ব্যয় হবে ১৬৮ কোটি ২৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড এসব সয়াবিন তেল সরবরাহ করবে।
সূত্র জানিয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা টিসিবির ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনায় ২৮ কোটি ৮০ লাখ লিটার ভোজ্য তেল কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে ১৯ কোটি ১৮ লাখ লিটার তেল কেনার চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার তেল স্থানীয়ভাবে কেনার উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি।
১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল স্থানীয়ভাবে কেনার জন্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০০৮ অনুসরণ করে গত ৭ ফেব্রুয়ারি উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) আহ্বান করা হয়। দরপত্রে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেলের বিপরীতে আংশিক অর্থাৎ সর্বনিম্ন ৩০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহের প্রস্তাব দাখিলের সুযোগ রাখা হয়।
দরপত্রের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একমাত্র দরপ্রস্তাব জমা দেয় দেশের অন্যতম সয়াবিন রিফাইনারি কোম্পানি সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাপ্তরিক মূল্য ছিল ১৬০.১০ টাকা। সেখানে দরপত্রে সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম উল্লেখ করে ১৫২.৯৮ টাকা। দুই লিটারের প্লাস্টিক বোতলে এসব তেল টিসিবির গুদাম পর্যন্ত পৌঁছে দেবে দরদাতা প্রতিষ্ঠান।
দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির মূল্যায়নে দেখা যায়, রেসপন্সিভ সর্বনিম্ন দরদাতা কর্তৃক প্রস্তাবিত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দর দাপ্তরিক প্রাক্কলিত দরের চেয়ে (১৬০.১০-১৫২.৯৮) ৭.১২ টাকা কম। রেসপন্সিভ সর্বনিম্ন দরদাতা সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেডের প্রস্তাবিত দর প্রতি লিটার অগ্রিম আয়কর, মূসক ও টিসিবির গুদামগুলোতে পরিবহনসহ ১৫২.৯৮ টাকা থেকে ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর, ৩.০৬ টাকা ও পরিবহন খরচ বাবদ ২.০০ টাকা বাদ দিয়ে প্রকৃত মূল্য দাঁড়ায় (১৫২.৯৮-৩.০৬-২.০০) ১৪৭.৯২ টাকা।
উল্লেখ্য, বর্তমানে স্থানীয় বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিনের গড় খুচরা মূল্য ১৬৩ টাকা। যা থেকে প্রস্তাবিত দর প্রতি লিটারে (১৬৩.০০-১৫২.৯৮) ১০.০২ টাকা কম। সর্বশেষ গত ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে উন্মুক্ত পুনঃদরপত্রের (জাতীয়) বিপরীতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৫৫.৯৭ টাকা দরে ক্রয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে, যা থেকে আলোচ্য প্রস্তাবিত দর প্রতি লিটারে (১৫৫.৯৭-১৫২.৯৮)=২.৯৯ টাকা কম।
এ সংক্রান্ত একটি ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করা হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।