1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৫৩ অপরাহ্ন
হেডলাইন :
চিকিৎসার জন্য আজ লন্ডন যাবেন খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো রাজধানীতে হলো “নিউ ইয়ার, নিউ মিশন’’ সম্মেলন অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান মারা গেছেন পূবালী ব্যাংকের উদ্যোগে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে বৃক্ষরোপণ  বাণিজ্য মেলায় ইসলামী ব্যাংকের প্রিমিয়ার স্টল উদ্বোধন মোজো এখন বাংলাদেশের ‘১ নম্বর’ বেভারেজ ব্র্যান্ড ১ টাকা কমলো ডিজেল-কেরোসিনের দাম, অপরিবর্তিত অকটেন-পেট্রোল ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দেয়ার আল্টিমেটাম থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি-ফানুস ওড়ানো বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ ল্যাবরেটরির মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যের কার্যক্রম সম্প্রসারিত হবে: খাদ্য উপদেষ্টা

বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর, খুলছে ইউরোপের চার দেশের দুয়ার

  • আপডেট সময় : শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৬৭ বার দেখা হয়েছে

কূটনৈতিক প্রতিবেদক : ইউরোপের চার দেশে বাংলাদেশি দক্ষ শ্রমিকের জন্য দুয়ার খুলছে। ছয়টি খাতে জার্মানি, ইতালি, গ্রিস ও রোমানিয়াতে বাংলাদেশি দক্ষ কর্মী পাঠানোর রোডম্যাপের কাজ গুছিয়ে এনেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আগামী জুন মাস থেকে এর বাস্তবায়ন শুরু হবে। ২২ জুনের মধ্যে আমরা রোডম্যাপ ফাইনাল করব এবং ইমপ্লিমেন্টেশনে যাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা এক ধরনের পাইলট প্রকল্প। সুতরাং অন্যান্য যে ইউরোপিয়ান দেশগুলো আছে তারাও কিন্তু আগ্রহী হবে। ট্যালেন্টহান্ট প্রকল্পের মাধ্যমে যেতে আগ্রহী শ্রমিকদের দেওয়া হবে ভাষা ও সংস্কৃতির প্রাথমিক ধারণা।’

এর আগে, ২০২২ সালের এপ্রিলে ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম ঘোষণা করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। যেখানে বলা হয়, ২৭ দেশের এই জোট দক্ষ কর্মী নেবে মোট ৭টি দেশ থেকে। তালিকায় আছে বাংলাদেশও।

এই প্রকল্পের কেন্দ্রীয় ব্যবস্থার অধীনে তৈরি করা ডাটাবেজের ওপর ভিত্তি করে ৭ দেশকে চাহিদাপত্র দেবে ইইউ সদর দপ্তর। এই কর্মসূচিতে যারা কাজে যাবেন মেয়াদ শেষে ফিরতে হবে দেশে।

অগ্রাধিকার পাবে তথ্যপ্রযুক্তি, কেয়ারগিভিং, নির্মাণশিল্প, ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি, কৃষি ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত, জাহাজ নির্মাণ ও তৈরি পোশাকশিল্প।

বাংলাদেশ কীভাবে এই সুযোগের সর্বোচ্চটা কাজ লাগাতে পারে তা নিয়ে কাজ শুরু করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি হওয়া আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে তৈরি করা হয়েছে রোড ম্যাপও।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে দুটি প্রক্রিয়ায় কর্মী পাঠানো সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এর একটি হচ্ছে বিশেষায়িত দক্ষ কর্মী (এসএসডব্লিউ-স্পেসিফায়েড স্কিলড ওয়ার্কার) মডেল, যার মাধ্যমে জাপানে লোক পাঠানো হয়। অপরটি হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য অনুসৃত কর্মসংস্থান অনুমোদন প্রকল্প (ইপিএস-এমপ্লয়মেন্ট পারমিট স্কিম)।

ইউরোপের ক্ষেত্রে এ দুটি মডেলের ধারাবাহিকতায় একটি মডেল তৈরি করা যেতে পারে। কিংবা অতীতে হংকংয়ে যেভাবে লোক পাঠানো হয়েছে সেটিও বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে। তবে, ইউরোপে যে প্রক্রিয়াতেই কর্মী পাঠানো হোক না কেন নিয়োগের নিয়ন্ত্রণ ইউরোপের হাতেই থাকবে।

তবে দক্ষ শ্রমিকদের কোনো সনদ না থাকলে সেটি যেন তাদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা না হয়ে দাঁড়ায় সে বিষয়ে ইইউর কাছে সম্প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। কারণ, বাংলাদেশে একাধিক বৃহৎ প্রকল্পে (মেগা প্রজেক্ট) অন্তত ৪০ হাজার শ্রমিক কাজ করেছেন। পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল বা এ ধরনের প্রকল্পে কাজ করার জন্য বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন হয় এবং সেটি তারা অর্জন করেছেন। কিন্তু তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোনো সনদ নেই।

বাংলাদেশে প্রতি বছর নার্সিং কোর্স শেষে শ্রম বাজারে প্রবেশ করে ৩৫ হাজার স্নাতক। কিন্তু তাদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই। এ ধরনের দক্ষ কর্মীরা যেন বিদেশে কাজের সুযোগ পায় সেজন্য আলোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ