1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:১৭ পূর্বাহ্ন

‘মিনি কক্সবাজারে’ ঈদ উৎসব

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৭৩ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদ উৎসবের ঢেউ লেগেছে ‘মিনি কক্সবাজার’ হিসেবে পরিচিত রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়ার ধার্মিকপাড়ার বালুর মাঠে। রংবেরঙের সাজে আগত দর্শনার্থীদের ভিড়ে ঈদের তৃতীয় দিনেও জমজমাট এই মিনি কক্সবাজার।

সব বয়সী মানুষের এ যেন এক মিলনমেলা। শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধদেরও উপস্থিতি চোখে পড়ে। শিশুরা এসেছেন বাবা-মায়ের হাত ধরে আর বৃদ্ধরা এসেছেন ছেলে-মেয়েদের হাত ধরে। তবে তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতিও কম নয়। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এসেছেন বন্ধুদের সাথে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) এ এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেলে জলাশয়ের পাড় কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। যদিও সকাল থেকে অনেকে আসা শুরু করেছেন। শিশুদের রাইডসগুলো সামনে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আগ্রহের কমতি ছিল না। আগত দর্শনার্থীদের আগ্রহের কথা বিবেচনা করে বাড়তি ইভেন্টের আয়োজন করেছে। সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগে বিশাল এই বিনোদনকেন্দ্র শিশুদের মনোরঞ্জনের প্রধান উৎস হয়েছে ইতোমধ্যে। হোটেল, রেস্টুরেন্টগুলো ক্রেতা আকর্ষণ বাড়াতে সাজসজ্জা করেছে। বিভিন্ন খাবারের দোকানে রকমারি পদের খাদ্যের সমাহার দেখা গেছে। মেয়েদের সাজ-সজ্জার জিনিসপত্রের দোকানও গড়ে ওঠেছে। তারা সেখান থেকে কেনাকাটা করছেন।

চারদিকে উন্মুক্ত জলাশয়। মধ্যখানে গড়ে ওঠা এই বিনোদনকেন্দ্র রাতে অপরূপ শোভা বর্ধণ করে। যাতায়াতের ব্যবস্থা ভালো থাকায় মানুষজনও স্বাচ্ছন্দে ভিড় জমান। তবে ব্যাটারিচালিত অটো রিকশার উৎপাত ভোগান্তি সৃষ্টি করে।

রাজধানীর অদূরে খোলামেলা পরিবেশে হিমেল হাওয়ায় উন্মুখ জলাশয়ে নৌকা ভ্রমণটাও বেশ উপভোগ্য। ছোট ছোট নৌকা ভাড়া করে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। ঢেউহীন স্বচ্ছপানিতে ঘুরতে যে কারোরই ভালো লাগবে। জলাশয়ের পাড়ে বসানো আছে অস্থায়ী চেয়ার। সেখানে বসে অনেকে খোশগল্প করেন। মাঝেমধ্যে জলাশয়ের পানিতে গিয়ে অনেকে পা ভিজিয়ে আসেন।

পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা আফজাল হোসেন বলেন, বিকেলে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। বাচ্চারা বিভিন্ন রাইডসগুলোতে উঠলো। ওরা বেশ আনন্দ পাচ্ছে।

মাইশা আক্তার নামে এক তরুণী বলেন, বালুতে হাঁটা যায় আর পানিতে পা ভেজানো যায়। নৌকাও আছে, ওঠা যায়। ভালোই লাগছে এখানে এসে।

ফ্রেন্ডস দই ফুসকা চটপটি অ্যান্ড লাচ্ছি দোকানের কর্মচারী চয়ন জানান, ঈদের দিন থেকে বেচাবিক্রি মাশাআল্লাহ ভালো। আজও ভালো হয়েছে। আশা করছি, এমনই থাকবে। আরেক কর্মচারী হৃদয় জানান, এমনিতে তো বিকেল থেকে ওপেন হয়। ঈদের দিন থেকে ১০টায় ওপেন করছি। পাবলিক এর আগেই এসে বসে থাকে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ