নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস বুধবার (১৭ এপ্রিল) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থন লক্ষ্য করা গেলেও দিন শেষে তা পতনমুখী হয়েছে।
এদিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা কমলেও সিএসইতে বেড়েছে। একইসঙ্গে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এদিন সূচকের উত্থান লেনদেন শুরু হয়। তবে লেনদেন শুরুর ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত সূচক ঊর্ধ্বমুখী অবস্থানে ছিল। এরপর থেকে সূচক পতনমুখী অবস্থানে নেমে আসে।
দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১০.৮০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৬৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই শরিয়া সূচক ১.৬৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৬২ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৫.৩৬ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১০৬টি কোম্পানির, কমেছে ২২২টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৭টির।
ডিএসইতে এদিন মোট ৪৮২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৪০ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স ৪৭.৫৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৮৯৭ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৮.৫৮ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ৪৫৯ পয়েন্টে, শরিয়া সূচক ২.২০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৯ পয়েন্টে এবং সিএসই৩০ সূচক ৬.৩৯ পয়েন্ট বেড়ে ১২ হাজার ৫৯৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন, সিএসইতে ২০৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৭০টি কোম্পানির, কমেছে ১০৬টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭টির।
দিন শেষে সিএসইতে ১১ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।