নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও দিন শেষে তা পতনমুখী হয়েছে। এদিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তবে, উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
ফলে, সপ্তাহজুড়ে পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক পতন লক্ষ করা গেছে। এর মধ্যে ডিএসইতে ১৭৭ পয়েন্ট ও সিএসইতে ২৮৬ পয়েন্ট পতন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে এ দিনের লেনদেন শুরু হয়। তবে, লেনদেন শুরুর ৮ মিনিটের মধ্যে সূচক পতনমুখী অবস্থানে নেমে আসে।
দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৭৭.০৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬৮৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই শরিয়া সূচক ১৫.৮৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৪৬ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ২২.৭৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৮৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ২৯টি কোম্পানির, কমেছে ৩৪২টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৪টির।
ডিএসইতে এদিন মোট ৫২২ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৮২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স ১২৪.৮২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৭৭২ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২১৫.০২ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ২৪৪ পয়েন্টে, শরিয়া সূচক ১১.৫৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৬৮ পয়েন্টে এবং সিএসই৩০ সূচক ১৪৫.৫৬ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৪৫৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন, সিএসইতে ২১১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৩৬টি কোম্পানির, কমেছে ১৫৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২০টির।
দিন শেষে সিএসইতে ১৮ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১১ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।