নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সূচকের বড় পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও দিন শেষে তা পতনমুখী হয়েছে। এদিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা কমেছে। উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, পুঁজিবাজারে টানা দর পতন রোধ করতে বুধবার (২৪ এপ্রিল) তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম কমার নতুন সীমা বা সার্কিট ব্রেকার বেঁধে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, কোম্পনিগুলোর শেয়ারের দর এক দিনে সর্বোচ্চ কমতে পারবে ৩ শতাংশ। তবে, সর্বোচ্চ দর আগের নির্দেশনা অনুযায়ী বহাল থাকবে।
বিএসইসি এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেও পুঁজিবাজারে সূচকের পতন ঠেকানো যাচ্ছে না। বরং, এই নির্দেশনা পতনকে আরও দীর্ঘায়িত করেছে বলে মনে করছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, এতে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারী ও প্রতিষ্ঠানগুলো আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফলে, আতঙ্কে আছেন বিনিয়োগকারীরা।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এদিন সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। তবে, লেনদেন শুরুর ১৩ মিনিটের মধ্যে সূচক পতনমুখী অবস্থানে নেমে আসে। পরবর্তী সোয়া ঘণ্টা পর সূচক ৯৬ পয়েন্ট কমে যায়। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা কিছুটা কমে আসে।
দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৬০.৪৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৫১৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই শরিয়া সূচক ১২.২৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২১৭ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১০.১৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৬৯টি কোম্পানির, কমেছে ৩০০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭টির।
ডিএসইতে এদিন মোট ৫১১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬০২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স ১০০.২৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৫২১ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৬৪.৪৩ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ৮১৫ পয়েন্টে, শরিয়া সূচক ৭.৪৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪০ পয়েন্টে এবং সিএসই৩০ সূচক ২১৪.৬৯ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ১১৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন, সিএসইতে ২১৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৩৩টি কোম্পানির, কমেছে ১৬১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৫টির।
দিন শেষে সিএসইতে ১১ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৬ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।