কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন কনা খাতুন (২৮) নামে এক গৃহবধূ।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের উত্তর পার সাওতা গ্রামে এমন ঘটেছে। পরে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করেন।
স্বজনরা জানান, পারিবারিক কলহের জেরে মানসিক কষ্টে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন কনা খাতুন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, হাত, পা ও পেটের আংশিক দগ্ধ নিয়ে রাতে একজন নারীকে হাসপাতালে আনা হয়। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
প্রতিবেশী আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০১০ সালে প্রেমের সম্পর্ক থেকে একই গ্রামের আল মামুন রতনের সঙ্গে কনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর উত্তর পার সাওতা গ্রামের স্বামীর বাসায় থাকতেন তিনি। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তার স্বামী রতন স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন। বিয়ের বছরখানেক পর থেকেই বিভিন্ন কারণে স্বামীর সাথে পারিবারিক কলহ বেধে থাকতো কনার। এর আগেও কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে সে।
আলাউদ্দিন আরও বলেন, সাংসারিক কারণে শারমিন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতেও স্বামীর সাথে অশান্তি বাঁধে। এরপর সে কেরোসিন দিয়ে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
দগ্ধ কনার ভাতিজি তাসিন বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফুফুর চিকিৎসা চলছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কি কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাত ১০টা পর্যন্ত ফুফুর বাড়িতে ভাইবোনরা মিলে আড্ডা দিয়েছি। বাড়ি ফিরে আসার আধাঘন্টা পর ফুফাতো ভাইবোন আমাদের বাড়িতে এসে জানায় ফুফুর গায়ে আগুন লেগেছে।