রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীর পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে আরও দুই শিশু তলিয়ে গেছে। এদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। অন্যজন নিখোঁজ রয়েছেন। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোদাগাড়ী পৌরসভার রেলবাজার খেয়াঘাট এলাকায় তারা ডুবে যায়।
মরদেহ উদ্ধার হওয়া শিশুর নাম উসমান আলী (১৩)। সে মহিশালবাড়ি সাগরপাড়া মহল্লার ওমর আলীর ছেলে। নিখোঁজ শিশুর নাম সুলতান মুহাম্মদ সাইফ (১৫)। সে একই মহল্লার প্রবাসী নাসির উদ্দিনের ছেলে। দুই শিশুই মহিশালবাড়ি আল-ইসলাহ ইসলামী একাডেমির ছাত্র।
স্থানীয়রা জানান, সকালে আল-ইসলাহ ইসলামী একাডেমির পাঁচ ছাত্র পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামে। এ সময় দুজন ডুবে যায়। পরে অন্য তিন জনের কান্নাকাটি দেখে স্থানীয়রা এগিয়ে যান। তারা উসমান আলীর মরদেহ উদ্ধার করেন। সাইফকে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়। তাদের তিনজন ডুবুরি দুপুর ১টা থেকে নদীর তলদেশে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নিখোঁজ সাইফের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে উসমানের মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হবে।
ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের লিডার আবদুর রাজ্জাক জানান, নিখোঁজ শিশুকে খুঁজে পেতে সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালানো হবে। এরপরও সন্ধান না পাওয়া গেলে পরদিন অভিযান শুরু হবে।
এর আগে, গত ২৩ এপ্রিল রাজশাহীর পবার শ্যামপুর বালুঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়। এই তিনজনই মাদরাসা শিক্ষার্থী ছিল। ২১ এপ্রিল পবার হরিপুর এলাকায় এক কিশোর ও এক তরুণের মৃত্যু হয় পদ্মা নদীতে ডুবে। ২০ এপ্রিল বাঘা উপজেলায় এক কিশোর ডুবে মারা যায়। এছাড়া, ১৯ এপ্রিলও বাঘায় এক শিশু নদীতে ডুবে মারা যায়। ১৪ এপ্রিল বাঘায় আরও দুই শিশু পদ্মা নদীতে ডুবে মারা যায়। তীব্র গরমে স্বস্তি পেতে তারা সবাই নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল।